জীবনে সফলতা পাওয়ার উপায়: সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা।

প্রতিদিন সকালে আপনার কাছে দুইটা choice থাকে।

  • শুয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা,

  • আর দুই শুয়ে না থেকে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য সমস্ত আরাম অলসতাকে ভেঙে, বিছানা থেকে উঠে নিজের স্বপ্নের পিছুনে দৌড়ানো।

choice আপনার হাতে আপনি কি করবেন। লুজার হয়ে সারা জীবন মানুষের মুখে শুনে যাবেন, যে তোর দ্বারা কিছু হবে না। তুই কিছু করতে পারবি না।

নাকি নিজের ভেতরের সমস্ত শক্তি দিয়ে সফলতা অর্জন করে দেখিয়ে দিবেন।

যে, আমিও চাইলে পারি এটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যাপার। আপনি কি আমার সেই বন্ধুটির মত হতে চান যে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় চিন্তা করেছে আমি আজ সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবো। আর প্রতিদিনের মতোই সে ব্যর্থ হয় তার অনুশোচনার কাছে।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করবে যে সকালে কেন উঠতে হবে, সকালে ওঠা টা এত কেন জরুরি।

  • শুধু তারাই শুনে রাখুন পৃথিবীর সকল সফল ব্যক্তিরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে।
  • যত সাকসেসফুল বিলিনিয়ার মিলিওনিয়ার আছে তারা সবাই সকালে ভোরে ঘুম থেকে উঠ
  • তে ভালবাসে।
  • কারণ তারা জানে এটা একমাত্র উপযুক্ত সময় যা তাদের স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে আসবে। ওই সময়টাই স্বপ্ন পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

একবার চিন্তা করে দেখুন নিজে নিজেই, যে ব্যাক্তি তার দিনের শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে যায়। সে কিভাবে সফল হবে, সামান্য একটু আরাম থেকে নিজেকে সরিয়ে তার স্বপ্নের পেছনে দৌড়াতে পারে না। সে কিভাবে জনবহুল পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের মাঝ থেকে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করবে।

সামান্য বিষয় এটা সহজ ভাবে বলে নিই, আপনি পারবেন ।

  • কারণ আপনি তো দিনের শুরুতেই ব্যর্থ। আপনি ব্যর্থ তার সাথে শুরু করছেন সেই দিনের শেষটা আপনি কিভাবে সফলতা দিয়ে শেষ করবেন। সামান্য বিষয় বুঝে নিন আপনি পারবেন।
  • একবার চিন্তা করুন যদি আপনি ভরে 4 টায় ঘুম থেকে উঠতে পারেন। তবে সেই সকল ব্যক্তিদের থেকে এগিয়ে গেলেন যারা তখন ঘুমাচ্ছে।
  • আপনি যত আগেই আপনার দিন শুরু করবেন তত আগে আপনি আপনার গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন। মনে রাখবেন পৃথিবীর কোন ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে উঠে ঐ সময়টাই বাজে কাজ করে না তখন স্বভাবগতভাবেই মানুষ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকি সকালে।

আর রাতে যত দেরিতেই ঘুমান না কেন সময়টা নষ্ট হয়, আজেবাজে কাজের পেছনে।

  • আপনি যদি সাতটায় ঘুম থেকে ওঠেন তবে যেদিন থেকে 4 টায় ঘুম থেকে ওঠা শুরু করবেন, তখন থেকে আগামী দশ বছর আপনি এক বছর দুই মাস 25 দিন সময় বেশি পাবেন। অন্য সকল ব্যক্তিদের থেকে।
  • আমরা কত বড় অভাগা পৃথিবীর মাত্র দশ পার্সেন্ট মানুষ এই সময়টাকে তাদের সফলতার হাতিয়ার বানিয়ে।
  • আজ পৃথিবীতে জিনিয়াস হয় মাথা উঁচু করে বেঁচে আছে। কিন্তু আমরা তা করছিনা দিনে 24 ঘন্টা সময়ের কোন দাম নেই।
  • যদি সকালে চার টা থেকে 7 টা এই তিন ঘণ্টা সময় আপনি আপনার স্বপ্নের পথে ফোকাস না করতে পারেন। কোন লাভ নেই সারা জীবন আপনাকে লুজার বা না পাড়া বিষয়টি শব্দটি শুনে যেতে হবে।

আমরা সবাই জানি এই পৃথিবীতে কম্পিটিশন এখন কত বেশি।

  • সব ক্ষেত্রেই শুধু কম্পিটিশন কম্পিটিশন, আপনার মতই আপনার কম্পিটিটর রা দিনে 24 ঘন্টা সময় পাবে।
  • আর আপনি আপনার সময়টাকে 24 থেকে 27 ঘন্টা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
  • আপনি ঠিকই শুনেছেন, আপনি আপনার সময়টাকে 24 ঘন্টা থেকে 27 ঘন্টা বাড়িয়ে নিতে পারেন সকালের এই তিন ঘন্টা আমাদের দিনের বেলায় 6 ঘন্টা সমান।

বিজ্ঞান বলে আমাদের দিনের বেলায় যে কাজ করতে 4 ঘন্টা সময় লাগে, তা সকালে দুই ঘন্টায় করতে পারব।

বিশ্বাস না হলে আপনি নিজেই একদিন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার যে কাজটা করতে বেশি সময় লাগে সেই কাজটা একদিন সকালে ভোরের সময় করে দেখুন। সময় লাগার পরিমাণ অর্ধেক এ নেমে আসবে।

  • কারণ তখন আমাদের ব্রেইন অনেক শান্ত থাকার কারণে দ্বিগুণ স্পিডে কাজ করতে পারে।
  • আপনাকে আমি হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, প্লিজ ভোরের সকালে ঘুম থেকে উঠে সেই কাজগুলো করুন, যা আপনার ভালো লাগে।
  • যে কাজের মধ্যে আপনি আনন্দ খুঁজে পান। কাজের মধ্যে আপনার স্বপ্ন লুকিয়ে আছে, আপনি সেই কাজগুলো করুন যে কাজে আপনার এক্সট্রা দক্ষতা আছে।
  • যে কাজ আপনি অন্যদের থেকে একটু ভালো বেশি পারেন।

মহান আল্লাহ আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে কোনো না কোনো একটি বিষয়ে এক্সট্রাপাওয়ার ও ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।

সমাজের পারিপার্শ্বিকতার কারণে আমরা তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি না। হতে পারে

  • আপনি লিখতে ভালোবাসেন,
  • হতে পারে ফুটবল খেলতে আপনি খুব পারদর্শী,
  • আবার হতে পারেন আপনি পড়াশোনায় খুব ভালো, হয় সেই কাজ গুলোই সকালে ভোরে ওঠে করতে থাকুন।
  • প্রতিদিনই করতে থাকুন আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না যে আপনার কতোটা improve হবে। আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবেনা।

সফল হবেনই কারণ ওই সময়টায় আমাদের পৃথিবীতে যে কসমিক এনার্জি রয়েছে সেই কসমিক এনার্জি প্রচুর পরিমাণে কাজ করে। আমাদের যে চাওয়া থাকে সে চাওয়া গুলো আমরা কসমিক এনার্জি থেকে সংগ্রহ করতে পারি। যাই হোক আর এত মোটিভেশনাল ভিডিও স্পিচ শুনে কোন লাভ নেই, যদি না আপনি নিজের প্রয়োজন অনুভব করতে না পারেন।

যেদিন আপনি আপনার প্রয়োজনটা বুঝতে পারবেন। সেদিন মানুষ আপনাকে পাগল বলবে।

আর যেদিন পাগল শব্দ টা শুনে ফেলবেন, সেদিন বুঝতে পারবেন আপনি সঠিক রাস্তায় সঠিক পথে হাঁটছেন। আপনার সফলতা আপনার কাছে ধরা দেবেই। কারণ পাগলরাই ইতিহাস তৈরি করে।

  • আছে কি সেই ইচ্ছা, পাগলের মতো যদি থাকে তবে সে মোবাইল ফোনের এলার্ম টা সকাল 4 টায় সেট করে নিন।
  • নিজে নিজে প্রতিজ্ঞা করুন আমিও সফল হব। আমাকে সফল হতেই হবে।
  • আমি প্রতিদিন সকাল চারটায় উঠবো। আমার স্বপ্নের সাথে প্রতিদিন সাক্ষাত করার জন্য। কিভাবে তাকে হাসিল করা যায়, কত কষ্ট করলে আমি তাকে পাব তাকে অর্জন করতে পারব তা জানার জন্য।
  • এই সময়টায় আপনার স্বপ্ন আমার সবথেকে কাছে থাকবে। পৃথিবীর সকল ধর্মের সকালের প্রার্থনা কে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেছে। কারণ তখন প্রার্থনা কবুল হওয়ার চান্স অনেক বেশি থাকে।

সকালে কোন কাজের পেছনে মনোযোগ দিয়ে পরিশ্রম করলে সেই পরিশ্রম বৃথা যায় না।

কারণ ঐ সময়টা মহান সৃষ্টিকর্তা এভাবেই তৈরি করেছেন। যে ওই সময়টায় কোন কিছু চাইলে তার সঙ্গে সঙ্গে কবুল হওয়ার চান্স বেশি। এখন choice আপনার হাতে, আপনি কি করবেন। সকালে আরাম বাতাসের নিচে শুয়ে শুয়ে শুধু স্বপ্নই দেখে যাবেন। নাকি সেই স্বপ্নের পেছনে দৌড়ে তা হাসিল করার চেষ্টা করবেন। চয়েস টা আবারও সম্পূর্ণই আপনার হাতে।

পৃথিবীর সফলতম ব্যক্তিদের লাইফ স্টাইল পড়ে দেখুন তারা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে।

Apple কোম্পানির সিইও সকাল 4 টায় ঘুম থেকে উঠে। The Rock 3:30 মিনিটে ঘুম থেকে উঠে যায়। অক্ষয় কুমার 4 টায় ঘুম থেকে ওঠে। স্টিভ জবস বিল গেটস jack ma মত সফল ব্যাক্তি রা দিন শুরু করে ভোর 4 টা থেকে ।

এখন কেউ কেউ বলবে আমাদের তো সারাদিন 7 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত। তবে 4 টায় ঘুম থেকে উঠে তা কমপ্লিট করব কিভাবে।

তাহলে তাদের বলছি 6 ঘণ্টা Deep sleep 10 ঘন্টা Live sleep এর সমান।

  • ছাড়াও Elon Mask যাকে পৃথিবীর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলা হয় তিনে তিনে ছয় ঘন্টা ঘুমান। তারপর পুরো সপ্তাহজুড়ে তিনি 100 ঘন্টারও বেশি কাজ করেন, তার স্বপ্নকে পূরণ করতে।
  • কিছুদিন 6 ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন, তাহলে আপনার ব্রেইন সেটা কি সঠিক বলে মেনে নিবে। আর 7 থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমিয়ে কি করতে পেরেছেন লাইফে।
  • এখনই সময় নিজেকে কিছু করার। চেষ্টা করুন সামান্য একটি গাছ, যা লাগানোর ফলে ফল পাওয়া যায়। গাছের দ্বারা উপকার হয়।

আর আপনি নিচের দিকে একবার তাকান, সারাদিন ফেসবুক, মেসেঞ্জার, tiktok youtube এগুলোর জন্য কী আপনার জন্ম হয়েছে। না নিশ্চয়ই নয়, হয়তো বা মহান আল্লাহ কোন একটা ভালো উদ্দেশ্যে আমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। কোন একটি ভালো উদ্দেশ্যে কাজ করার জন্য আপনাকে সৃষ্টি করেছে। মনে রাখবেন মহান আল্লাহ সৃষ্টি কখনো বৃথা যায় না। choice টা আপনার হাতেই পরিবর্তন হবেন, নাকি সারাজীবন নর্দমার মধ্যে পড়ে থাকবেন। আপনি চিন্তা করুন, যে আপনি কি করতে চান, কি হতে চান। সুতরাং আপনি চাইলেই সবকিছু সম্ভব, আপনি চাইলে সম্ভব। চেষ্টা করুন- লেগে থাকুন।

Related >>

রাগ নিয়ন্ত্রণ করার উপায়। রাগ নিয়ন্ত্রণের কিছু সফল কৌশল।

ব্লকচেইন কী | প্রযুক্তি জগতের বিস্ময়কর আবিষ্কার | Blockchain এর ব্যবহার।

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *