ধনি হওয়ার সহজ উপায়। খুব সহজে ধনী হতে চাইলে এই ৪ টি কাজের যে কোনো একটি করুন ।

অর্থনীতির ভাষায় এই পৃথিবীতে টাকা ইনকামের প্রসেস হচ্ছে দুইটা।

  1. একটা হচ্ছে অ্যাক্টিভ ইনকাম,

  2. আরেকটা হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

  • অ্যাক্টিভ ইনকাম এর মানে হচ্ছে যতক্ষণ আপনি কাজ করবেন, ততক্ষণ আপনি টাকা পাবেন। কাজ করবেন না কোনো টাকা আসবে না। যেমন একজন চাকরিজীবী দিনের যেকোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে সারা মাস কাজ করার পর সে একটা নির্দিষ্ট বেতন পায়। আর সে যদি চাকরি না করে তাহলে সে টাকা পাবে না। তেমনি ভাবে রাজমিস্ত্রি রিক্সাওয়ালা দোকানদার যদি দোকান না খুলে বা রিকশা নিয়ে বের হয় তাহলে সে টাকা পাবে না। আর এটা কি বলা হয় একটি ভিন্ন যা সব গরীবরাই করে থাকে।
  • অন্যদিকে প্যাসিভ ইনকাম এর মানে হচ্ছে আপনি কাজ না করলে টাকা আসবে। এই ইনকামের প্রচেষ্টায় আপনি ঘুমিয়ে আছেন তাতেও আপনার টাকা ইনকাম হতে থাকবে। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হচ্ছেন এলন মাস্ক বলেন, আমার পকেট থেকে যদি হান্ড্রেড ডলার এর কোন নোট মাটিতে পড়ে যায় তাহলে আমি সেটা উঠাই না কারণ এটা উঠাতে আমার,যতটুকু সময় লাগবে ততটুকু সময়ের মধ্যে আমার আরো 500 ডলার ইনকাম হয়ে যাবে এটাই হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম এর প্রসেস।
  • তাই এই পৃথিবীতে সব বড় বড় ধনী ব্যক্তিরা সবাই প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকে। তারা যদি ঘুমিয়ে থাকে তারপরও তাদের টাকায় আয় হতে থাকে। কারণ তারা একটা প্যাসিভ ইনকাম ট্রেড করে রেখেছে। তাই আমরা যারা ধনী হতে চাই তাদের প্রত্যেকেই এই প্যাসিভ ইনকাম একটা ক্রিয়েট করে রাখতে হবে। যতদিন না আপনি প্যাসিভ ইনকাম এর প্রচেষ্টা ক্রিয়েট করে রাখছেন ততদিন আপনি ধনী হতে পারবে না। সহজে ধনী হতে চাইলে passive income এর কোন বিকল্প নেই।

আজ আমি এমন চারটি প্যাসিভ ইনকামের কথা বলব:

  • এই চারটি প্যাসিভ ইনকাম এর মধ্যে যেকোনো একটি প্যাসিভ ইনকাম দ্বার করাতে পারেন, তবে লাইফে কোনদিন টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনার অভাব সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যাবে। এই প্যাসিভ ইনকাম গুলোর মাধ্যমে আপনি কাজ না করে ঘুমিয়ে থাকলেও টাকায় কত থাকবে। তার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:

১) প্রথমটি হচ্ছে ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং।

দুই দিন আগে আমার একটা বন্ধু আমাকে মেসেঞ্জারে.
মেসেজ করে বলল যে ও নাকি গত ডিসেম্বর মাসে ব্লগার থেকে 62 হাজার টাকায় করেছে। এটা শুনে তো আমি অবাক হয়ে যাই। কি বলে এটা তারপর আমি ইউটিউবে এই বিষয়টা নিয়ে সার্চ করেছি সত্যতা কতটুকু। আদও কি ব্লগার বা কনটেন্ট রাইটিং করে এত টাকা আয় করা যায়। ইউটিউবে যা দেখলাম তা দেখে আমি আরো অবাক হয়ে যাই। বাংলাদেশ এবং ভারতে এমন ব্লগার আছে যারা মাসে 3000 থেকে 4000 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় 2 লাখ 85 হাজার থেকে তিন লাখ 85 হাজার টাকা।

এখন কথা হচ্ছে ব্লগিং বা content writing বিষয় টিা কী?

সেটা হচ্ছে আমাদের সবার কাছেই মোবাইল বা কম্পিউটার আছে যখন আমাদের কোন একটা নতুন বিষয় জানার প্রয়োজন পড়ে। তখন আমরা মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে গুগলে গিয়ে সার্চ করি গুগোল আমাদের 10 টার রেজাল্ট সাজেস্ট করে দেখায়। এর মত একটা অথবা দুইটা তে ক্লিক করে, বিষয়গুলো পড়ে সে সম্পর্কে জানি। এই যে বিষয়গুলো পরি এগুলো গুগলের কোন কর্মচারী লিখে রাখেনি। এগুলো লিখে রাখে আমার বন্ধুর মত কিছু ব্লগার বা content writer.

তারা এই কনটেন্ট গুলো গুগলের কাছে সাবমিট করে। তখন গুগোল এগুলো আমাদের দেখায়, এর পাশাপাশি গুগোল কিছু ads দেখায় কন্টেনের মাঝখানে। আর এই গুলো দেখানোর বিনিময় গুগল কনটেন্ট রাইটারকে টাকা বা ডলার দেয়।

তাই এখন কথা হচ্ছে এই কনটেন্ট রাইটিং করব কিভাবে।

content writing করার জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে দুটি একটি হচ্ছে ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস। ব্লগে কনটেন্ট রাইটিং সম্পূর্ণ ফ্রি কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেসে কিছু টাকা দিতে হয়। যেমন বছরে মাত্র দুই থেকে চার হাজার টাকা আর কনটেন্ট রাইটিং বিষয়টা হচ্ছে কোন কিছু নিয়ে লেখা।

  • সেটা যেকোন বিষয় হতে পারে হতে পারে স্বাস্থ্য নিয়ে,
  • হতে পারে শিক্ষা নিয়ে,
  • আবার হতে পারে নিউজ নিয়ে,
  • যেকোন বিষয় নিয়ে আপনি লেখালেখি করবেন।
  • যদি একবার আপনার কনটেন্ট গুগলের rank হয়ে যায় তবে বসে বসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খেতে পারবেন।

তবে প্রথম দিকে মনোযোগ দিয়ে তিন থেকে চার মাস কাজ করতে হবে, বিষয় টা একবার আপনার আয়ত্তে চলে আসলে তখন আর আপনার টাকার অভাব হবে না। আপনি একটা কেন চার-পাঁচটা পরিবার চালাতে পারবেন।

তো দুইটা উপায়ে আপনি content writing শিখতে পারবেন প্রথমে ফ্রিতে।  দ্বিতীয়টি হচ্ছে টাকা দিয়ে আমাদের দেশে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা 15 থেকে 20 হাজার টাকা দিয়ে কনটেন্ট রাইটিং শেখাচ্ছে। তবে আপনি প্রথম প্রথম ফ্রিতে শুরু করতে পারেন ফ্রিতে শিখার জন্য ইউটিউবে টি্‌উটােরিয়াল দেখতে পারেন। দেখে দেখে শিখতে পারবেন। এছাড়াও আপনি এখানেও Tw3press.com লিখতে পারবেন। এবং ইনকাম করতে পারবেন।

২) দ্বিতীয় প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

আমাদের দেশের অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা মাসে 80000 থেকে 1 লাখ 20 হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলে মার্কেটিং করে। Affiliate Marketing হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যেম।

  • যেমন social media:facebook,
  • instagram,
  • twitter
  • and pinterest এর মাধ্যেমে profile তৈরি করে flowller বাড়িয়ে, বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা।
  • এই কাজটি যদিও প্রথম দিকে একটু কঠিন হয়। কিন্তু একবার যদি একটা প্রোফাইল দাঁড় করানো যায়, তাহলে কোন কথাই নেই।
  • আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বছর পার করে দিলেও আপনার ইনকাম আসতেই থাকবে। শুধু মাঝেমধ্যে একটু কাজ করতে হবে, প্রোফাইলটি সচল রাখার জন্য।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে উপরের দুইটি মাধ্যমে শিখতে পারবেন একটা হচ্ছে পেইড আরেকটি ফ্রিতে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হলে আপনাকে ইউটিউবে কি লিখতে হবে হাউ টু লার্ন এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা। তাহলে অনেকগুলো ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ভালো ভিডিওগুলো দেখে দেখে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন।

৩) তৃতীয় প্যাসিভ ইনকাম কি হচ্ছে ব্যবসা।

ব্যবসা এমন একটা প্যাসিভ ইনকাম যার মাধ্যমে শুধু আপনি কেন, আপনার চৌদ্দ পুরুষ বসে বসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খেতে পারবে।

  • বর্তমানে এই এশিয়া উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠতম ধ্বনি হচ্ছেন মুকেশ আম্বানি। কিন্তু আম্বানি কি নিজের পরিশ্রম করে এসে সবচেয়ে বড় ধনী হয়েছেন, না।
  • তিনি তার সম্পত্তির অংশ পেয়েছেন পৈতৃকসূত্রে। মুকেশ আম্বানির বাবা ধীরুভাই আম্বানি এই বিশাল সম্পত্তির বীজ বপন করে গিয়েছিলেন। তিনি এক সম্পদের পাহাড় তার ছেলেদের জন্য তৈরি করে রেখে গিয়েছিলেন।
  • আর সেই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করেছে তার ছেলে মুকেশ আম্বানি।

বাকি ছেলেরা যদিও এতটা সম্পদশালী হতে পারেনি, কিন্তু মুকেশ আম্বানি তার পৈতৃক সূত্রে বাবার কাছ থেকে সম্পত্তি পেয়ে সেটাকে সঠিক ব্যবহার এবং বুদ্ধি খাটিয়ে তিনি আজ এশিয়ার সর্ব শ্রেষ্ঠ ধনী হতে পেরেছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশের প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান তার অবসরের টাকা দিয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে।

  • আর বর্তমানে তার ছেলে আহসান খান চৌধুরী প্রাণ-আরএফএল এ ছাড়া বাংলাদেশসহ 48 টা দেশ এর রাজত্ব করছে।
  • তাই জীবনে বিশাল সম্পদের মালিক হতে চাইলে ব্যবসার কোন বিকল্পই নেই।
  • একবার কোন একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারলে ঘুমিয়ে থাকলেও টাকায় হতে থাকবে।
  • যেমন প্রাণ গ্রুপের মালিক যদি সারাদিন ঘুমিয়ে থাকে তাহলে দেশের যেকোন স্থানে প্রাণের পণ্য বিক্রি হবে, এবং সেই মুনাফা তার কোম্পানি নিশ্চয়ই পাবে।
  • তাই চেষ্টা করুন বড় কিছু করার।

৪) চতুর্থ প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে বুক রাইটিং।

  • বিশ্বের এমন অনেক বইয়ের লেখক আছে যারা একবার একটা ফেমাস বই লিখে এখন বসে বসে খাচ্ছে।
  • তাই যাদের বই লেখার আগ্রহ আছে বা বই লিখতে পারেন, তারা এই পদ্ধতির মাধ্যমে একটা প্যাসিভ ইনকাম করে রাখতে পারেন।
  • এই বুক রাইটিং প্যাসিভ ইনকাম টি খুব strong. আপনি একবার কষ্ট করে অনেক জ্ঞান অর্জন করে যে কোন একটা বই লিখে, যদি সেটা ফেমাস করতে পারেন তাহলে আর আপনার কিছু করার দরকার নেই।
  • বছরের-পর-বছর আপনার টাকা আসতেই থাকবে। সেটা যেকোনো বই হতে পারে, গল্পের বই হতে পারে, উপন্যাসের বই হতে পারে, আবার সাহিত্য বা কবিতার বই হতে পারে।
  • এছাড়াও উপদেশমূলক শিক্ষামূলক কোন বই হতে পারে। যদি কোন একটা বই লিখে বাজারে ছাড়া যায়, আর বইটি বিক্রি হয় তাহলে বইয়ের বিকৃত সবগুলো কপি থেকে আপনি টাকা পাবেন।
  • পৃথিবীর অনেক বড় বড় writer রা আছে তারা এভাবে টাকা আয় করছে। বুক রাইটিং একটা সুন্দর রাস্তা হতে পারে প্যাসিভ ইনকাম এর।

চারটি passive income এর মধ্যে কোনটি আপনার বেশি ভাল লেগেছে, আর আপনি কোনটা শুরু করতে যাচ্ছেন, কমেন্টে জানাও।

Fatema Akter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *