দেওয়া না পাওয়া – কোনটা বেশি তৃপ্তি দেয়।

আপনি কী মনে করেন অঢেল সম্পদের মালিক হলে আপনি সুখী হতে পারবেন। ভুল।

তাই যদি হতো তাহলে যুক্তরাষ্ট্র হতো সবচেয়ে সুখি মানুষের দেশ। ২০১৯ সালের Global wealth Report অনুযায়ী পৃথিবীর মোট ৩৬১ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের মধ্যে ১০৬ ট্রিলিয়ন ডলার ২৯.৪ % শতাংশ আছে আমেরিকানদের হাতে। অথচ ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘ বিশ্বের সুখী দেশের যে তালিকা করেছে তার শীর্ষে তো দুরের কথা।

১ম দশে কখনো আসতে পারেনি, শীর্ষ সম্পদশালী, পুঁজিবাদি এই দেশটি।

world Happiest country

  1. Finland
  2. Denmark
  3. Switzerland
  4. Iceland
  5. Norway
  6. Netherlands
  7. Sweden
  8. New Zealand
  9. Australia
  10. Luxembourg.

আসলে প্রাচুর্য নয় মানুষকে প্রকৃত তৃপ্তি অন্যকে দেয়ার অভ্যাস। 

২০০৮ সালে ব্রিটিস কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভাট বিজনেস স্কুল কতৃক একদল শেচ্চাসেবিকের পরিচালিত যৌথ গবেষণায় এই বিষয়টি উঠে আসে।

এমনকি শুধু দান করার ইচ্ছাই বাড়িয়ে দিতে পারে মনের সুখ।

এমনটাই বলা হয়েছে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই nature communication এর গবেষণায়।

সুইজারল্যান্ডের এক জরিপ গবেষক ৫০ জন ব্যাক্তিকে জানায়, তারা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা একশ ডালার করে পেতে যাচ্ছে।

এদের অধ্যেককে সেই অর্থ নিজেদের জন্য ব্যয় করার কথা ভাবতে বলে। বাকিদের অঙ্গীকর করায় পরিচিত কারো জন্য খরচ করে।

বাস্তবে সেই লোকগুলোর মধ্যে অর্থ বন্টনের আগে গবেষকরা সবাইকে ল্যাবে নিয়ে যান এবং চিন্তা করতে বলেন। যাকে তারা উপহার দিতে চায় তার সম্পর্কে এ বাবদ আনুমানিক যতটা তারা খরচ করবে। এরপর তারা প্রত্যেকের মস্তিষ্কের MRI scan করে।

  • সামাজিক আচরন
  • উদারতা
  • সুখ
  • এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের সাথে সম্পর্কিত মস্তিষ্কের তিনটি অংশের কার্যক্রম পরিমাপের জন্য।

গবেষণা শেষে দেখা গেল। যারা অন্যের জন্য ব্যয় পরিকল্পনা করেছিল তাদের মস্তিষ্কের পরার্থপরতা ও সুখের সাথে সম্পর্কিত অংশগুলোর মধ্যে আন্তক্রিয়া তাদের চেয়ে বেশি। যারা কেবল নিজেদের জন্য ব্যয় করতে চেয়েছিল। তাদের মনে সুখের মাত্রাও অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি।

দানের এই তাৎক্ষণিক এই সুখকর অনুভুতিগুলো কতক্ষণ থাকে তা স্পষ্ট নয়। তবে দানকে নিয়মিত অভ্যাসে পরিনত করলে তা দীর্ঘমেয়াদি কল্যান ও সুখকে প্রভাবিত করতে পারে।

অন্য একটি গবেষণায় বরাতে বলেছেন জুরিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকরা।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ফিলিপ টবলার বলছেন। একাধিক গবেষনায় দেখা গেছে, বয়স্কদের মধ্যে যারা দানশীল তাদের স্বাস্হ্য অন্যদের চেয়ে ভাল। অপরের জন্য অর্থ ব্যয় বা দান রক্তচাপ কমাতে ততটাই সক্ষম যতটা ওষুধ বা শরীরচর্চা করতে পারে।

সর্বোপরি অন্যকে সাহায্যে করলে স্টেস কমে এমন প্রমান ও পেয়েছেন বিজ্ঞানিরা।

দানশীল ব্যাক্তিরা কেন দীর্ঘায়ু হওয়ার কারন সম্ভবত এটাই তার কারন বলছেন অধ্যাপক ফিলিপ টবলার।

তাই দানে আন্তরিক হন।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যথাসাধ্য দান করুন আপনার মাটির ব্যাংকে। পরম করুনাময়ের অনুগ্রহে বারবে আপনার সুখ।

আপনি মুক্ত থাকবেন দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক, দারিদ্র্য ও বালা মুসিবত থেকে।

 

 

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *