মার্কেটিং স্টেপ বাই স্টেপ। যে কোনো প্রোডাক্ট মার্কেটিং নলেজ। Marketing Guide| Product Marketing Tutorial

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, আজকের এই পর্বে আমি আপনাদের যেকোনো প্রডাক্টের- তাতে আপনার ছোট কোম্পানিতে বানানো হোক। বা বড় কোম্পানিতে তৈরি তার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য দেব। অর্থাৎ কোন প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং কিভাবে করবেন এই নিয়ে সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দিব।

যে কোন প্রোডাক্ট বা কোম্পানি তা নতুন হোক বা পুরানো। প্রোডাক্ট মার্কেটিং হল তার প্রাণশক্তি। মার্কেটিং প্লান ছাড়া কাস্টমারের মাঝে প্রোডাক্ট এর ডিমান্ড জাগানো সহজ নয়। আর নতুন প্রোডাক্ট হলে তো প্রপার মার্কেটিং অবশ্যই লাগবে।

এই টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদের সব ধরনের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বুঝাবো। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন, বন্ধু তাহলে আপনি ও আপনার প্রোডাক্টের, খুব সহজে মার্কেট পেয়ে যাবেন। একথা বলতেই পারি চলো তাহলে শুরু করা যাক আজকের মূল বিষয়বস্তু।

বন্ধু যে কোন ব্যবসার মূল মন্ত্র লুকিয়ে আছে ব্যবসা কথাটির মধ্যে। ব্যবসা কথাটি কে ভাঙ্গলে আমরা তিনটি অক্ষর পাই

ব্যবসা = ব্য + ব + সা

ব্য = ব্যবহার

ব = বচন

সা = সাহস

ব্যবসা শুরু করার জন্য এই তিনটি মূল মন্ত্র প্রথমে আপনাদের মনে গেঁথে নিতে হবে। যে কোন ব্যবসা শুরু করতে যেমন এই তিনটি জিনিসের প্রয়োজন। তেমনি যেকোনো প্রডাক্টের মার্কেটিংয়ের জন্য চাই এই তিনটি গুণ। বন্ধু ব্যবসা শুরু করতে গেলে শুধু টাকার প্রয়োজন হয় না। হয় বুদ্ধি ও সঠিক প্ল্যানিংয়ের।

খুব কম টাকা নিয়েও তাই সঠিক প্ল্যানিংয়ের জোরে আজ বহু শিল্পপতি প্রতিষ্ঠিত। বন্ধু এবার সরাসরি মার্কেটিং নিয়ে বলি। যে কোন প্রোডাক্ট এর নতুন পুরানো মার্কেটিং স্টেপ কিন্তু সেই গুছানো, এবং স্ট্র্যাটেজি ক্যালি তৈরি।

মার্কেটিং স্টেপ বাই স্টেপঃ

যেকোনো প্রডাক্টের মার্কেটিং এর প্রথম ধাপ হলো

১. মার্কেটে কম্পিটিটরদের স্টাডি করা।

অর্থাৎ আপনি যে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে যাচ্ছেন। বা যে প্রোডাক্ট বানিয়েছেন সেই একই রকম প্রোডাক্ট মার্কেটে আর কোন কোন কোম্পানির তৈরি করছেন। তা টোটাল লিস্ট তৈরি করা। এবং প্রত্যেকটি কোম্পানি

  • কোন প্রোডাক্ট কত দামে বিক্রি করছে
  • তাতে কি কি ইনগ্রেডিয়েন্টস উপকরণ দেওয়া রয়েছে
  • তার কি কি গুনাগুন বলে কম্পানি দাবি করছে

এই টোটাল স্টাডি করা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যারা প্রতিপক্ষ রয়েছে তাদেরকে চেনা হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এবং ফাস্ট পয়েন্ট সেই সঙ্গে আপনার একই রকম প্রোডাক্ট এর মার্কেট প্রাইস কত রেখেছে। সবগুলো কিন্তু আপনাকে ভালো করে যাচাই করতে হবে। আপনার বিজনেসের সঠিক উন্নতির জন্য।

২. প্রডাক্টের আইডিয়াল কাস্টমারদের choose করা।

অর্থাৎ আপনি যে প্রোডাক্ট তৈরি করেছেন তাঁর আইডিয়াল কাস্টমার কারা। তাদের কে choose করা। সেই আইডিয়াল কাস্টমার আপনার কিন্তু বিজনেস এ উন্নতি করতে হেল্প করবে। তাই তাদেরকে আইডেন্টিফাই করা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

যেমন ধরুনঃ আপনি যদি একটি রুম ফ্রেশনার তৈরি করেন। আপনি নিশ্চয়ই তার মার্কেট গ্রামাঞ্চলে পাবেন না। কারণ সেখানে তার ব্যবহার হয় না। আপনি সাধারনত শহরগুলো তে এর মার্কেট পাবেন।

আবার আপনি যদি এমন কিছু জিনিস তৈরি করেন ধরুন আপনি তৈরি করেছেন ধান ঝাড়াই মেশিন। বা তৈরি করছেন চালের ব্যবসা। সেক্ষেত্রে আপনার কিন্তু শহরের থেকে গ্রামাঞ্চল গুলো কিন্তু বড় বিজনেস পয়েন্ট হয়ে যাবে।

তো আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট এর আইডিয়াল কাস্টমার কারা এবং তারা কোথায় লোকেটেড সেটাকে চয়েস করতে হবে। এবং সেই এলাকাগুলোকে টার্গেট করতে হবে। আপনার মার্কেট হিসাবে।

৩. আপনার প্রোডাক্টের এক্সট্রা কি ভ্যালু আছে তার নোট ডাউন করা।

অর্থাৎ মার্কেটে আপনার যে সমস্ত কম্পিটিটর রয়েছে তাদের প্রোডাক্ট এর তুলনায় আপনার প্রোডাক্ট কি কি অফার করছে। কোন কোন ইনগ্রেডিয়েন্টস বা উপকরন আছে। যেটি আপনাকে তাদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রাখে। এইগুলো কিন্তু আপনাকে নোট ডাউন করতে হবে।

যখন আপনি ফিল্ডে মার্কেটিং করবেন তখন এগুলো স্ট্র্যাটেজি ক্যালি কাজে দেবে।

৪. মার্কেটিং বাজেট তৈরি করা।

আপনি আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য কত টাকা বাজেট হিসাবে রাখতে চান। আপনি কি নিজেই আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং করবেন। ছোট কম্পানী বলে, নাকি আপনার কোম্পানি বড় করবার জন্য একজন সেলস অফিসার নিয়োগ করবেন। এবং সেইসঙ্গে আপনি ads কী কী দেবেন।

স্যাম্পল প্যাকেট দেওয়ার জন্য কত টাকা খরচ করবেন। প্রাথমিকভাবে আপনাকে একটু বাজেট তৈরি করে নিতে হবে।

আর এই যে চারটি স্টেপ আমি আপনাদের কে বললাম

  1. মার্কেটে কম্পিটিটরদের স্টাডি করা।
  2. প্রডাক্টের আইডিয়াল কাস্টমারদের choose করা।
  3. আপনার প্রোডাক্টের এক্সট্রা কি ভ্যালু আছে তার নোট ডাউন করা।
  4. মার্কেটিং বাজেট তৈরি করা।

এই চারটে স্টেপ হচ্ছে মার্কেটিং এর বেসিক পয়েন্ট। আপনার এই চারটি স্টেপে যদি আপনার রিসার্চ কমপ্লিট হয়ে যায়। তারপর শুরু হচ্ছে আসল ফিল্ড মার্কেটিং এন্ড সেলস। এবং আপনার প্রডাক্ট লঞ্চিং।

৫. ফিল্ড মার্কেটিং এবং সেলসঃ

ফিল্ড মার্কেটিং এবং সেলস আপনি দুটো ধাপে করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে আপনি বিজ্ঞাপন শুরু করতে পারেন, আপনার প্রোডাক্টের কাস্টমার বাড়ানোর জন্য। অথাৎ আপনি কাস্টমারদের কে আকৃষ্ট  করতে বিজ্ঞাপনের সহায়তা নিতে পারেন।

আপনি দু রকম ভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন

  • একটি হছে কম বাজেট বিজ্ঞাপন
  • বেশি বাজের বিজ্ঞাপন

কম বাজেট বিজ্ঞাপন হিসেবে আপনি প্রাথমিক ভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলোকে চুজ করতে পারেন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বলতে

  • ফেসবুক
  • হোয়াটসঅ্যাপ
  • টুইটার
  • ইনস্টাগ্রাম
  • ইউটিউব

এইগুলোতে আপনি টার্গেট করতে পারেন। কারণ এইগুলো তে আপনি খুব কম বাজেটে বেশি কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এবং সেই কাস্টমারদের, যারা জেনুইন কাস্টমার। কারণ এই মুহূর্তে আমাদের ভারত বর্ষ বাংলাদেশের কথা যদি ধরা হয়। এই young জেনারেশনটা কিন্তু তৈরি হচ্ছে আপনার ইন ফিউচার কাস্টমার।

ইয়াং জেনারেশন কিন্তু এখন ইন্টানেট অ্যাডিক্টেড। ইন্টারনেটে তারা বেশিক্ষণ সময় কাটাতে।

ইন্টারনেটে আপনার বাজেট কম এ আপনি যদি বিজ্ঞাপন শুরু করেন। আগামী দিনে কিন্তু আপনার মার্কেট গ্রো করবে ইন্টারনেট থেকেই। এবং সেই সঙ্গে আপনি লো বাজেটে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সঙ্গে সঙ্গে। ছোট ছোট ব্যানার দোকান মালিকদের কাছে দিতে পারেন।

আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট এর ডিটেলস। আপনি ছোট ছোট A4 সাইজের বা স্টিকার সাইজ আপনি উনাদেরকে বিজ্ঞাপনের জন্য দিতে পারেন। তার দোকানে টাঙ্গানোর জন্য। এটা কম বাজেটের বিজ্ঞাপন।

এবার আপনার যদি বাজেট বেশি হয় বিজ্ঞাপনের জন্য।

সে ক্ষেত্রে আপনি

  • নিউজপেপার
  • এবং টেলিভিশন কে টার্গেট করতে পারেন।

কারণ ভারত বর্ষ এবং বাংলাদেশের বেশিরভাগ লোকই এখন নিউজপেপার টেলিভিশনের প্রতি অ্যাডিক্টেড। তাই আপনি এই সমস্ত নিউজ পেপার টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তার জন্য অনেকে ads agency রয়েছে agency আপনি গেলে ওরাই আপনার জন্য বিজ্ঞাপন এর ভিডিও শুট করা থেকে শুরু করে টোটাল কিছু দেখভাল করবে। তবে বেশ ভালোরকম বাজেট প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে।

এবার আপনার বিজ্ঞাপন এবং নিউজ পেপারের অ্যাড দিয়ে যখন আপনার মার্কেট মোটামুটি ভাবে তৈরি।

সেই অবস্থায় আপনাকে মার্কেটে নামতে হবে। মার্কেটে  যাবে সেলস পারসন।

অর্থাৎ আপনি পাইকারি বিক্রেতা, সোজা কথায় বিজ্ঞাপন আপনি প্রথমে মার্কেটে দিলেন। এবং তারপর আপনার সেলস পারসন যাচ্ছে মার্কেটে। অনেকে আবার এটিকে অনেক রকম ভাবে বলেন। অনেকে বলেন যে আগে সেলস পারসন মার্কেটে প্রডাক্ট লঞ্চ করে ফেলার পরে তারপরে বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা।

আপনি দুটি পদ্ধতিকেই ফলো করতে পারেন। আপনার এরিয়া তে। এবার আপনি ডাইরেক্টলি যদি বিজ্ঞাপন না দেন। আপনার যদি খুব ছোট কম্পানী। হঠাৎ আপনি নিজেই প্রোডাক্ট তৈরি করেছেন। নিজেই মার্কেটিং করছেন। এরকম ছোট কম্পানী হলে আপনি ডাইরেক্ট সেলস পারসন বা পাইকারি বিক্রেতা হিসেবে প্রত্যেকটি দোকানপাট, সব দেশে যাবেন। তারা আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করবে।

সেখানে আপনাকে কিন্তু কিছু স্ট্র্যাটেজী বা নিয়ম মেন্টেন করতে হবেঃ

প্রোডাক্ট নলেজ।

আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানা প্রয়োজন। আপনি যদি নিজে সেলসম্যান হিসেবে যান বা সেলস পারসন দোকানে আপনার প্রোডাক্ট এ নিয়ে যায়। আপনার প্রোডাক্ট এর টোর্টাল নলেজ প্রয়োজন। কি কি এক্সট্রা বেনিফিট আছে। মার্কেটে অন্যান্য প্রোডাক্ট এর থেকে। যেটি আমরা আগেই থেকেই রিসার্চ করে লিখে রেখেছি।

সেই প্রডাক্ট নলেজ কিন্তু আপনাকে প্রাথমিকভাবে, যে সমস্ত দোকান মালিক রয়েছে। যারা অলরেডি অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করছে। তাদের কাছে এক্সট্রা পয়েন্ট হিসেবে আপনাকে দিতে হবে। তাছাড়া এক্সট্রা, আপনার কোম্পানি কি অফার করছে নতুন প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে আপনাকে তথ্য দিতে হবে।

সেইসঙ্গে আপনার প্রোডাক্ট যে প্রাইস অন্যান্য প্রোডাক্ট এর প্রাইস থেকে কতটা সেটা কিন্তু আপনাকে বোঝাতে হবে।

এবং সেই সঙ্গে আপনার প্রথম দিকে যেটা প্রত্যেকটি কোম্পানি করে থাকে। একটি অফার, যে কোনো অফার 5 শতাংশ, ২০ %  অফার। ১০ টার সাথে এক্সট্রা একটা প্যাকেট। প্যাকেট এর সঙ্গে এই রকম টাইপের কিছু অফার আপনাকে রাখতে হবে শুধুমাত্র দোকানদার গুলোকে এট্রাক্টেড করার জন্য।

বক্তব্য বা speech

প্রোডাক্ট নলেজ এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য বা speech.  বক্তব্য   আপনাকে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আপন লিখে বা মুখস্ত করে রাখতে পারেন। যে টি আপনাকে প্রত্যেকটি কাস্টমার প্রত্যেকটি দোকানে আপনি এপ্লাই করতে পারেন।

যে রকম ভাবে আমি ধরুন একটি বক্তব্য আপনাদের বলে শোনাইঃ

আসসালামু আলাইকুম আমি tw3press কোম্পানি থেকে কিছু নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছি। এটি বিক্রি করে বিক্রেতা হিসেবে। এবং ক্রেতা হিসেবে কাস্টমারের কি কি লাভ আছে তা বলার আগে। প্রডাক্ট টি কে একবার হাতে নিয়ে দেখতে পারেন।

শুধু তাই নয়, আপনি যদি এখনই এই প্রোডাক্টটি নেন। তাহলে আমরা এই রকম অফার আপনাকে দিতে পারি। এই রকম ভাবে আপনাকে একটু স্পিচ রেডি রাখতে হবে। আপনি কি রকম ভাবে স্পিচ রেডি করবেন। আপনি অবশ্যই নিজের মতো করে তৈরি করতে পারেন।

সেই স্পিচ কিন্তু আপনার প্রত্যেকটি দোকানে কাজে লাগবে। যখন আমি সেলসম্যান হিসেবে প্রত্যেককে দোকানে আসছেন।

এরপর আপনি আপনার প্রোডাক্টের ফ্রী স্যাম্পল প্রত্যেকটি দোকানে দেবেন। তারা ফ্রী ইউজ করবে, তার জন্য আপনি ছোট ছোট করে একটা প্রোডাক্ট বানাবেন।

ধরুন আপনি যদি মসলার প্রডাক্ট বের করেন, তাহলে আপনাকে দশ গ্রামের কিছু মসলার প্যাকেট রাখতে হবে স্যাম্পল দেওয়ার জন্য।

৬. Follow-up

যেটা খুব ইমপর্ট্যান্ট এরা নতুন বিগিনারদের তো পরে আসার কথা বলবেন অনেক দোকানদার। কারণ অনেক দোকানদারি প্রাথমিকভাবে একদিনের জন্য কেউ সেলসম্যান গেলেই তার কথা বিশ্বাস করে তার প্রোডাক্ট নিয়ে নেয় না। তার ফলোআপ কেমন সে কতবার কত ঘন ঘন দোকান আছে তার ওপর নির্ভর করে দোকানদার এর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হয়। সেটা খুব ইম্পর্টেন্ট।

জানবেন এই রকম ভাবে যে সমস্ত কাস্টমার বা দোকানদার আপনাকে যাচাই করছে। সে কিন্তু আপনার জেনুইন কাস্টমার। এবং সেগুলি কিন্তু আপনার টার্গেট। বারবার প্রত্যেকটি দোকান আপনাকে ফলো আপ করতে হবে।

সবথেকে ইম্পর্ট্যান্ট যেটা আমি আগেও বলেছি। ব্যবহার অথাৎ good রিলেশনশিপ আপনার খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাচনভঙ্গিতে তার প্রকাশ পাবে। তাই

  • আপনার ব্যবহার,
  • আপনার কথা,
  • আপনার অ্যাটিটিউড,
  • আপনাকে আপনার সবকিছুই

আপনার কোম্পানির পরিচয় তাই আপনাকে প্রত্যেকটি দোকান কে ফলো আপ করতে হবে। আপনার একটি পার্টিকুলার বিজনেস রিলেটেড মোবাইল নাম্বার তাদেরকে দিতে হবে।

যেকোনো প্রয়োজনে আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। বা তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

রিলেশনশিপ তৈরি হয়ে গেলে। আপনি যে কোন জায়গাতে মার্কেটিং করে বেরিয়ে আসতে পারবেন।

৭. টার্গেট

এবার বন্ধু মার্কেটিং শুরু হয়ে যাওয়ার পর আপনার নেক্সট হবে টার্গেট। টার্গেট অরিয়েন্টেড আপনাকে কাজ করতে হবে। টার্গেট আপনি দু রকম ভাবে করতে পারবেন। আপনি ডাইরেক্ট যারা সেলসম্যান আছে তাদেরকে টার্গেট দিতে পারবেন।

তারা প্রত্যেকটি দোকানে টার্গেট দিতে পারবেন। টার্গেট মানে জোড় করে বিক্রয় নিশ্চয়ই নয়। অর্থাৎ দোকানে অফার দিতে পারবেন। তাতে দোকানদার অন্য কোম্পানির প্রোডাক্টের চেয়ে আপনার প্রোডাক্টের আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করতে ইন্টারেস্টেড হন। তাতে তাদের বেনিফিট আছে বেশি। আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে অফার দিতে পারেন।

যেমন এই মাসে 10 কেজি কোন প্রোডাক্ট কেনার সঙ্গে এক কেজি ফ্রি। প্রতি মাসে 50 কেজি আপনি প্রোডাক্ট বিক্রি করলে আপনি একটি ফ্রীজ ফ্রী পাবেন। এরকমভাবে অফার দেবেন এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকম প্যাকেজের ব্যবস্থা রাখবেন।

যাতে আপনার টার্গেট পূরণ হয়। এবং আপনার কোম্পানি আস্তে আস্তে উন্নতি করতে থাকে।

৮. রির্টান পলিসি।

এবার আসি বন্ধু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট টেবিল রিটার্ন পলিসি। ভাল রির্টান পলিসি আপনার কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। আপনার প্রোডাক্ট যদি ফল্ট বের হয় বা এক্সপায়ারি ডেট এর মধ্যে বিক্রয় না হয়। তাহলে কিছু পারসেন্টেজ দাম কেটে নিয়ে আপনাকে রির্টানের ব্যবস্থা রাখতে হবেই।

কারণ এটি আপনার কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করবে।

আপনি যত ভালো রিলেশনশিপ তৈরি করতে পারবেন। তত ইন ফিউচার আপনার বেনিফিট থাকবে। তাই রির্টান পলিসি অবশ্যই থাকতে হবে। এবং সেটি কাস্টমারকে প্রথম দিনে অর্থাৎ আপনার দোকানদারকে প্রথম দিন বুঝিয়ে দিয়ে আসতে হবে।

যদি আপনি এই কয়টি ধাপ খুব ভালো করে মাথায় গেঁথে নেন। এবং কাস্টমারের সঙ্গে, আপনার যারা কাস্টমার প্রত্যেকটি দোকানদার তাদের সঙ্গে ভালো রিলেশনশিপ তৈরি করে নিতে পারেন। আপনাকে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য কখনো পিছন ফিরে তাকাতে হবে না। এইটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে আপনি যত অভিজ্ঞ হবেন তত শিখবেন।

কথাতেই আছে ঠান্ডা মাথায় রক্ত ক্ষয় না করে যুদ্ধ যেতা যায়। তাই ঠান্ডা মাথায় মার্কেট রিসার্চ করুন, প্ল্যান করুন এবং সেই প্লানের এক্সিকিউট করুন।

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *