ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন শিখবেন, আয় কেমন।

প্রযুক্তির কল্যাণে সবকিছু এতটাই সহজ হয়ে গিয়েছে যে এখন আর মানুষকে বাজারে গিয়ে পণ্য যাচাই-বাছাই করে কেনার প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসে একটি ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই পণ্য সম্পর্কে জানতে ও কিনতে পারে। পাশাপাশি অনলাইনে একাধিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোম্পানি থাকার কারণে মানুষ খুব সহজেই একটিরইসাথে আরেকটির তুলনা করে পণ্যটি নিজের জন্য কিনতে পারেন।

এই যে মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যে মাধ্যমে কিনছেন সেটিই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে,

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং হল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে কোন কোম্পানি যখন তাদের পণ্যের প্রচার-প্রচারণা ও ব্র্যান্ডিং করে থাকে সেটিকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

অনলাইনে যারা কেনা বেচা করেন তারা সবাই শিক্ষিত। তাই শিক্ষিত এই জনগোষ্ঠীকে বোকা বানানো কিন্তু সহজ নয়। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংটা এমনভাবেই কোম্পানিদেরকে করতে হয় যেন‌ তার পণ্যটির প্রতি মানুষ আকর্ষিত হয় ও কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রতিদিন অনলাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মানুষ হাজার হাজার পণ্য কেনাবেচা করছেন। তাই এর গুরুত্বও দিন দিন বেড়ে চলছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?

ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্রধান যে কারণটি আমি শুরুতেই বলতে পারি সেটি হচ্ছে যে, আপনার পণ্যটি নিয়ে আপনি খুব সহজেই ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারবেন। যেহেতু বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইনের যুগ। তাই দিনের কিছু সময় হলেও মানুষ অনলাইনে থাকার চেষ্টা করে। আপনার পণ্য ক্রেতার কাছে এই অনলাইনের মাধ্যমেই কিন্তু পৌঁছানো সবচেয়ে সহজ।

ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ও আপনার ক্রেতার মাঝে একটি সম্পর্ক স্থাপন করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার পণ্যের চাহিদাটি মানুষের মাঝে কেমন।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে প্রতিযোগিতা করে আপনি আপনার পণ্যের মান আরো ভালো করতে পারবেন যা আপনার ক্রেতাকে খুব তাড়াতাড়ি আপনার পণ্যটি কিনতে আগ্রহী গড়ে তুলবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মনিটরিং করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

বর্তমান বিশ্ব পণ্য বেচা – কেনা ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং যেন এক অত্যাবশ্যকীয় মাধ্যম। আপনি যত ছোট বা বড় বিজনেসই করেন না কেন আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের আওতায় আসতেই হবে যদি আপনি আপনার ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে চান। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যার জন্য আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং করা প্রয়োজনীয়ই নয় অত্যাবশ্যকীয়ও বটে। কিন্তু বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং করার। তো চলুন সেই বিষয়গুলোই জেনে নেই।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার সুবিধা

স্বল্প বিনিয়োগ

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যের মার্কেটিং সিস্টেম। এখানে আপনি খুব কম খরচে আপনার পণ্যের বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে আপনার ক্রেতাকে জানাতে পারবেন ও ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন। এখানে আপনার পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাকে জানানোর জন্য কোন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন এমনকি আগের ব্র্যান্ডিং এর মত যেমন টেলিভিশন ও রেডিও ব্র্যান্ডিংয়ে যে ধরনের খরচ হতো তা কিন্তু এখন হয় না।

আন্তর্জাতিক ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যায়

পূর্বেকার অফলাইনের ব্র্যান্ডিং সিস্টেম ছিল একটি স্থান ও নির্দিষ্ট ভূগোলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সারা বিশ্বের মানুষ তো দূরে থাক সারা দেশের মানুষকেও আপনি আপনার পণ্য সম্পর্কে ঐইভাবে জানাতে পারতেন না তখন। আর এই সীমারেখাকেই অতিক্রম করতে পেরেছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মার্কেটেও মার্কেটিং করতে পারবেন। আর এর প্রচারণার জন্য আপনাকে তেমন কোন বেগও পোহাতে হবে না।

ব্র্যান্ডের বিকাশ

আপনার পণ্যটির বিকাশ ও গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য আপনাকে কিন্তু বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এই বিষয়টিকে সহজ করে তুলেছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ড ও পণ্য ক্রেতার কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন এর ফলে আপনার ব্র্যান্ডের বিকাশ সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকবে।

দোকানের প্রয়োজন নেই

আগে কোন পণ্যের বিপণের জন্য বিক্রেতার অবশ্যই একটি দোকানের প্রয়োজন হতো। যার মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার সম্পর্ক স্থাপিত হতো। কিন্তু অনলাইনে আপনার মার্কেটিং করার জন্য এমন কোন শপের দরকার নেই। আপনি অনলাইনকে সামনে রেখেই আপনার পণ্যের ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন।

নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যায়

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারবেন। যার আপনার পণ্যটি প্রয়োজন একমাত্র সেই কিন্তু আপনাকে নক করবে ও আপনার পণ্যটি যাচাই-বাছাই করে তার দাম ও বিস্তারিত বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইবে আপনার সাথে। আর এই ব্যাপারটিকে আরো সহজ করে তোলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং। শুধুমাত্র টার্গেটেড বা নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছেই আপনার পণ্যের বিস্তারিত বিষয় চলে যাবে অনলাইন অ্যালগরিদমের মাধ্যমে।

বেশি মুনাফা

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা অনলাইন এর মাধ্যমে ব্যবসা করেন তাদের মুনাফা খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায়, সঠিক ভোক্তার কাছে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে পারবেন। এর ফলে আপনার পণ্যগুলো দ্রুততার সাথেই বিক্রি হবে সাথে সাথে আপনার মুনাফা।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা

সময়ের অপচয়

অনলাইন মার্কেটিং এর একটি দোষ বা অসুবিধা হলো এখানে সময়ের খুব বেশি অপচয় হয়। কারণ অনলাইন ব্যবসার শুরুতেই আপনি কিন্তু বোঝেন না কোন ব্র্যান্ডের জন্য কোন বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন, কোন বিষয়গুলো কাজ করে এবং মানুষ কিভাবে নেয়। এই কৌশলগুলো না জানার কারণে শুরুতে আপনার অনেকটা সময়ই চলে যাবে।

নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্য অবশ্যই তার কিছু ডাটা আপনাকে নিতে হয় আর এই ডাটা বা তথ্য সুরক্ষার দায়িত্বও কিন্তু আপনার। কোন ক্রেতা যখন তথ্য দেয়ার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তখন কিন্তু তিনি আপনার পণ্যটির প্রতি কখনোই আস্থা রাখতে পারবেন না।

প্রযুক্তির উপর নির্ভরতা

অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পূর্ণ আপনার ইন্টারনেট ও ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইসের উপর নির্ভর করে। আর এই সকল জিনিস কেনার জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে এবং যারা এই ডিভাইসের আওতাভুক্ত নয় বা যাদের কাছে ডিভাইসগুলো নেই তারা কিন্তু প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও আপনার পণ্যটি সম্পর্কে জানবে না ও কিনতে পারবে না। এর ফলে আপনি অনেক সম্ভাব্য ক্রেতাই হারাতে পারেন।

ইন্টারনেটে সমস্যা

যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের উপরে নির্ভর করে তাই যখন আপনার ইন্টারনেট কানেকশনে সমস্যা দেখা যাবে তখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি সঠিক সময় ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বা প্রয়োজনের সময় ক্রেতা আপনাকে রিচ করতে পারবে না। আর এটি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা অনলাইন ব্যবসায়ীদের কাছে।

অনেক প্রতিযোগিতা

অনলাইনে কিন্তু প্রতিযোগিতার পরিমাণ এত বেশি যে প্রতিটা দিনই আপনাকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হয় আপনার পণ্যটিকে আরো ভালোভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর জন্য। অফলাইনের ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সমতুল্য ব্যবসায়ীর সাথেই শুধু প্রতিযোগিতা বা কম্পিটিশন করতে হয় কিন্তু অনলাইন এমন একটি ক্ষেত্র এখানে ছোট কোম্পানির সাথে যেমন প্রতিযোগিতা করতে হয় ঠিক তেমনি বড় কোম্পানিগুলোর সাথেও সমানতালে প্রতিযোগিতা করতে হয় টিকে থাকার লড়াইয়ে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিভিন্ন পন্থা রয়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে সবকিছু মানুষের হাতের নাগালে হওয়ার কারণে সবকিছু অনেক সহজলভ্য হয়েছে। এর ফলে আপনি খুব কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন, এমনকি নিজ উদ্যোগেও শিখতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে বর্তমানে ইউটিউব এমন একটি মাধ্যম যেখানে হাজার হাজার টাকার কোর্স ফ্রিতে আপনি ধারাবাহিকভাবে শিখতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞ ব্যক্তি প্রতিনিয়ত ভিডিও দিয়ে থাকেন। ঠিক তেমনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও প্রচুর টিউটোরিয়াল আপনি পাবেন। বাংলা ভাষা, ইংরেজি ভাষা ও আরো বিভিন্ন ভাষায় আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে ভিডিও পাবেন। এখান থেকে আপনার সুবিধাজনক কোর্সটি আপনি করে নিতে পারেন।

গুগল থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা

“গুগল ডিজিটাল গ্যারেজ” নামে গুগলের একটি অনলাইন কোর্স রয়েছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন। কোর্স শেষে আপনাকে একটি সার্টিফিকেটও প্রদান করা হবে।

ব্লগ পড়ার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সবচেয়ে সহজ ও ভালো পদ্ধতি হলো অনলাইনে ব্লগ পড়া। ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে অনেক বাংলা ও ইংরেজি ব্লগ আপনি পাবেন কিন্তু বাংলা ব্লগগুলো ততটা সুসজ্জিত ও ভালো মানের নাও হতে পারে কিন্তু ইংরেজি ব্লগ এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। তাই আপনি যদি ইংরেজি ভালো বুঝে থাকেন তাহলে ব্লগ দেখে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করে

বাংলাদেশে অনেক ট্রেনিং সেন্টার আছে , যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে কোর্স করানো হয়।

  • creative it institute
  • eshikhon
  • coders Trust

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা

বর্তমানে মানুষ যে জায়গায় সবচেয়ে বেশি সংযুক্ত বা কানেক্টেড থাকে সেটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্যের আদান প্রদান করছে একে অপরের সাথে। তাই এখান থেকে আপনি এমন অনেক ব্যক্তিকে পাবেন যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ফেসবুক, টুইটার, লিংঙ্কডিন, ইন্সট্রাগ্রাম সকল প্রকার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শেখানো হয়

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বিস্তৃত বিষয়। এখানে‌ কাজ করার জন্য প্রচুর কিছু শিখতে হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে বিষয়গুলো আপনার জানা থাকতেই হবে নিজেকে একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে গড়ে তুলতে:

digital marketing,seo,blog,website, social media marketing
digital marketing,seo,blog,website, social media marketing
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (ফেসবুক, টুইটার, পিনটারেস্ট, ইন্সট্রাগ্রাম)
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং মার্কেটিং এর কৌশল
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • অনলাইন ব্যবসায়িক কৌশল
  • ইনবাউন্ড মার্কেটিং
  • কমিউনিকেশন স্কিল বা দক্ষতা
  • ডাটা এনালাইসিস
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • গুগল অ্যানালাইটিকস এবং ওয়েব মাস্টার
  • ইউটিউব মার্কেটিং
  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ খোঁজা।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং

উপরে আমি ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এটি মে সম্পূর্ণ অনলাইনের উপর নির্ভর করে সে বিষয়ে কথা বলেছে। যেহেতু এটি সম্পূর্ণ অনলাইন এর উপর নির্ভর করে তার মানে আপনি ঘরে বসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

ডিজেল মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে একটি কোম্পানির পণ্যের বিপণন ও ব্র্যান্ডিং করে দেওয়া। গতানুগতিক পণ্য মার্কেটিং এর চেয়ে অনলাইন মার্কেটিং বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কারণ এখন মানুষ দিনের অনেকটা সময় অনলাইনে কাটিয়ে থাকেন এবং পুরোপুরি অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল।

তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেকগুলো কাজের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যতম। ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।

Related Post:

ফ্রিল্যান্সিং: ক্যারিয়ার গাইডলাইন 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার

বর্তমানে পণ্য-বেচা কেনার জন্য অনলাইন একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম এবং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে মানুষের মাঝে। প্রযুক্তির উপর বর্তমানে মানুষ এতটাই নির্ভরশীল যে এটি ছাড়া এক মূহূর্তও চিন্তা করতে পারেনা। আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্যারিয়ার যে কতটা উপরের দিকে উঠবে সময়ের সাথে সাথে তা তো নিঃশঙ্কোচে বলাই যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি ২ ভাবে ইনকাম করতে পারবেন।

একটি হচ্ছে সার্ভিস বেসিস ইনকাম আরেকটি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

সার্ভিস বেসিস ইনকাম

সার্ভিস ইনকাম মানে হল আপনি যদি একটি ক্লায়েন্টের একটি কাজ করে দেন তাহলে সেইটার উপরেই আপনি টাকা পাবেন। যতগুলো কাজ করবেন ততগুলোর জন্যই আপনাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। ধরুন, আপনি কারো কিছু পণ্যের জন্য ব্র্যান্ডিং করে দিলেন এই কাজের জন্য আপনি পারিশ্রমিক পাবেন একবারই। এটিই হল সার্ভিস বেসিস ইনকাম বা কাজ অনুযায়ী আয়।

প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম হলো আপনি যেকোনো একটি কাজ একবারই করবেন কিন্তু এর জন্য আপনি আজীবন টাকা পেতে থাকবেন। প্যাসিভ ইনকামের জন্য কোন ব্যক্তি বা ক্লায়েন্টের প্রয়োজন পড়ে না। যেমন ইউটিউবিং করা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ওয়েবসাইটের এসইও, ব্লগিং করা ইত্যাদি।

Frequently Asked Questions:

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন?

ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা ও মানের উপর। নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না যে আপনি কত টাকা আয় করবেন একজন ডিজিটাল মার্কেটার মাসে ৫০ হাজার টাকাও আয় করতে পারেন। আবার লাখ টাকার উপরেও আয় করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ল্যাপটপ?

ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে তেমন কোনো ভারী কাজ নয়। সাধারণত লাইট বা হালকা কাজ করার জন্য কম কনফিগারেশনের ল্যাপটপই উপযুক্ত। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে তাই হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু আপনার ল্যাপটপের কনফিগারেশন যত ভাল হবে আপনি তত ভালোভাবে ও দ্রুততার সাথে আপনার কাজটি করতে পারবেন। যদি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনার গ্রাফিক্সের কাজ থাকে তাহলে আপনার কনফিগারেশনটা একটু ভালো মানের হতে হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ৩ থেকে ৪ জেনারেশন এর processor, ৪জিবি র‍্যাম + এসএসডি থাকলেই হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ?

আগে যারা এনালগ পদ্ধতিতে মার্কেটিং করতো, সেই সকল মানুষকেও বর্তমানে তাদের ক্রেতাকে ধরে রাখতে ও পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় আসতেই হচ্ছে। আপনি নিজ থেকেই বুঝতে পারছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জল। ২০১৯ সালে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার ছিল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে। এর ভিতরে ১১৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হওয়ার কথা শুধু এশিয়াতেই। ২০২০ সালে যেগুলোর মার্কেট সাইজ দাঁড়ায় ৩৬০ থেকে ৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনদাতারা প্রতি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পেছনে প্রায় ৪৪ ডলারের মতো টাকা খরচ করেছেন।

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *