টাকা আমাদের সকলের কাছের বন্ধু, যে কখনোই আমাদের সাথে প্রতারনা করে না। টাকার গুরুক্ত বুঝতে চাইলে কিছু টাকা ধার করার চেষ্টা করতে পারেন। বর্তমান বিশ্বে টাকার গুরুত্ব বোঝাতে যাওয়া বিশাল বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
আপনি যদি সত্যিকার অর্থে টাকা জমাতে চান তাহলে একটি আয় থেকে প্রাপ্ত টাকা জমিয়ে বেশিদূর যেতে পারবেন না। মনে করুন আপনি চাকুরী কিংবা ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে আয় করেন ৪০ হাজার টাকা, যার মধ্যে প্রতিমাসে খরচ হয়ে যায় ৩০ হাজার টাকা, বাকি থাকে ১০ হাজার টাকা,যা জমাতে চান।
ধরে নিলাম আপনি প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা জমাবেন, আপনি যদি সত্যিকার অর্থে প্রতিমাসে দশ হাজার টাকা জমান তাহলে এক বছরে জমা হবে এক লক্ষ্য বিশ হাজার টাকা। এভাবে টাকা জমিয়ে এক কোটি টাকার মালিক হতে আপনার তিরাশি বছর সময় লেগে যাবে।
টাকা জমিয়ে ধনি হতে চান তাহলে একাধিক আয়ের পথ এর ব্যবস্তা করতে হবে। আপনার যদি একাধিক আয়ের পথ না থাকে তাহলে এখনই খোজার চেষ্টা করুন। এছাড়া আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চাইলে টাকার জমানোর পাশাপাশি বিনিয়োগ করুন।
আমরা টাকা জমানোর চেয়ে খরচ করতে বেশি আনন্দ পাই। আপনি নিজেই নিজেকে বড় সপ্ন দেখান, এমন সপ্ন দেখান যাতে টাকা জমানোর মনমানসিকতা তৈরি হয়।
ধরেন আপনি প্রতি মাসে 10,000 জমিয়ে বছরে 120,000 জমালেন, এবং সেই জমা টাকা দিয়ে অনলাইন ব্যবসা চালু করলেন এবং সেই ব্যবসা থেকে আপনি প্রতি মাসে দুই লক্ষ্য টাকা আয় করতেছেন।
একদিক দিয়ে টাকা জমাবেন, আর একদিক দিয়ে ঋন মুক্ত করবেন, এটা ফুটো বালতির মধ্যে পানি ঢালার মতো। আপনি যদি বর্তমানে ঋনগ্রস্ত থাকেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পরিসদ করে দিন। এরপরে টাকা জামাতে মননিবেশ করুন।
প্রতি কত টাকা কোথায় ব্যয় করেন তা জানতে হবে। বাসা ভাড়া,খাওয়া ও কেনাকাটা ইত্যাদি কোথায় কত টাকা খরচ হয়, আপনি যদি জানেন তাহলে পরবর্তীতে খরচ কমিয়ে বেশি টাকা জমাতে পারেন।
জরুরী খরচের টাকা সবসময় আলাদা রাখতে হবে, কেননা জরুরি কাজের সময় টাকার দরকার পড়তে পারে। হতে পারে কোন একটি দূর্ঘটনা কিংবা অন্য কোন জরুরি প্রয়োজনে কোন সুজোগ লুফে নিতে। জরুরি কাজের টাকা আলাদা রাখতে টাকা জমানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
আপনি যেই জিনিস অনেকদিন ব্যবহারের জন্য কিনবেন, তা কেনার আগে যাচাই করে নিন। কোয়ালিটি সম্পন্ন জিনিস বেশি টাকা দিয়ে কিনলেও দীর্ঘদিন পজন্ত বারবার ব্যবহার করতে পারবেন।
বর্তমানে আমাদের বাইরে খেতে যাওয়া একটি ট্রেডিশন হয়ে গেছে। আপনি যদি টাকা জমিয়ে সেই টাকা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চান, তাহলে এখনই সময় বাইরে খাওয়া ত্যাগ করুন।
এই খাতটি খরচের একটি বিশাল অংশ। আমি বলবনা আপনি টাকা জমাতে গিয়ে কোন ধরনের কেনাকাটা করবেন না। কেনাকাটা করবেন, কিন্তু তা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।
আমাদের খরচের একটি বিশাল অংশ এই যাতায়াত কিংবা পরিবহন করতে চলে যায়। আপনাকে যদি প্রতিদিন বাইরে যতে হয় তাহলে পাবলিক বাস ব্যবহার করতে পারেন। দুরত্ব কাছে হলে হেটে চলে যান এতে টাকাও জমবে শরীর ও ভালো থাকবে।
ইলেকট্রনিকস পন্যে কমবেশি অনেকেরই আসক্তি আছে। দামি মোবাইল না কিনে, কমদামি মোবাইলে যদি আপনার প্রয়োজনীয় কাজ হয়ে যায় তাহলে তাই চালান। এবং মনকে বলুন এমন এক সময় আসবে আমি উন্নতমানের মোবাইল ব্যবহার করব।
কেনাকাটা করতে জাওয়ার সময় লিস্ট করে নিন কি কি প্রয়োজনীয়। এবং দোকানে গিয়ে লিস্ট অনুযায়ী কিনুন, লিস্ট বাইরে অপ্রয়েজনীয় কিছু কিনবেন না।
আপনার যে জিনিসের প্রয়োজন হয় না তা বিক্রি করে দিন, এতে আপনার হাতে নগদ টাকা চলে আসবে।