আমাদের সবার জীবনের প্রধান চাওয়া হল হ্যাপি। অথাৎ খুশি থাকা। আমরা সবাই ডাইরেক্টলি অথবা ইনডাইরেক্টলি এই হ্যাপিনেস এর পেছনে দৌড়ে চলেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষকে এটা জিজ্ঞেস করা হয়। যে সে হ্যাপি কিনা উত্তর আসবে না।
তার কারণ হলো আমরা খুশিতে থাকতে চাই। কিন্তু খুশি থাকার জন্য যে ছোট ছোট বিষয় গুলো আমাদের নজর রাখা উচিত সেগুলো আমরা নজর রাখি না। তো আজকে এরকমই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলব, যেগুলো নজর রাখলে আমার মনে হয় আমরা অনেক বেশি খুশি থাকতে পারবো।
আমাদের জীবনে সুখ-দুঃখ, সমস্যা, অসফলতা ও সফলতা সবই আসবে। কিন্তু আমাদের খুশি থাকা টা পুরোটা না হলেও অনেকটা আমাদের হাতেই নির্ভরশীল।
আমরা যে কাজগুলো প্রতিদিন করি এবং যেভাবে করি তার উপরে আমাদের খুশি থাকাটা অনেকটা নির্ভর করে। তো আমি এরকমই সাতটি কাজের কথা বলব যেগুলো আমাদের খুশি থাকতে সাহায্য করবে।
আমাদের সকালবেলাটা যদি ভাল কাটে আনন্দে কাটে। তাহলে সারাদিন মন ভালো থাকার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি অনেকেই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খুব খিটখিটে হয়ে থাকে। হয়তো কোন কারনে
আমরা এগুলো করে অন্যের মুড এর থেকে নিজের মুড বেশি খারাপ করে দেই। কিন্তু যেহেতু এগুলো আমাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। তাই আমরা নিজেরাই রিয়েলাইজ করতে পারিনা। যে এগুলো আমাদের হ্যাপিনেস সিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই নিজের সকাল হাসিমুখে শুরু করার চেষ্টা করুন। সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে, নিজের সকাল শুরু করার চেষ্টা করুন।
আমাদের শরীর সুস্থ না থাকলে কখনোই আমাদের পক্ষে খুশি থাকা সম্ভব না। আমাদের কাছে
কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ মানুষের শরীরের দিকে নজর দেইনা।
এগুলো আমাদের শরীরে বাজে প্রভাব ফেলে। আর তার ডাইরেক্টলি আমাদের মনে প্রভাব ফেলে। তাই হ্যাপি থাকার জন্য আজ থেকেই আমাদের নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে।
এই সব ভেবে ভেবে আমরা নিজেকে আনহ্যাপি করে তুলি। আপনি যত ভালো কাজ করুন না কেন। আপনাকে খারাপ বলার লোক থাকবে। তাই অন্যের বলা কথাটি নিজের মনে না নিয়ে নিজেকে দুঃখী না করাই ভালো।
অনেক সময় আমরা নিজেই কল্পনা করে নেই হয়তো সামনের লোকটা আমার ব্যাপারে হয়তো খারাপ ভাবছে। কিন্তু সেটা আমাদের ভুল ও হতে পারে। আমি বলছি না যে কারো কোনো পরামর্শ নিতে। অন্যেরা যদি আমাদের ভুল ধরিয়ে দেয়। অথবা আমাদের ভালো পরামর্শ দেয়। তাহলে সেগুলো অবশ্যই শুনা উচিৎ।
কিন্তু অন্যের কথা শুনে, বিচার না করে নিজেকে বাজে ভাবা, দুর্বল ভাবা, এগুলো একদমই উচিত না।
4. Enjoy the journey.
আমরা ভাবি হ্যাপিনেস কোন কিছু অর্জন করার পরে আসবে। আমরা যেদিন আমাদের লক্ষ্য পূরণ করব। সেদিনই একমাত্র খুশির দিন হবে। কিন্তু লক্ষ্য পূরণের পর খুশি কি পার্মানেন্ট থাকে। একদমই না, কয়েক মুহুর্ত বা ম্যাক্সিমাম কয়েকদিন থাকে।
আর আমরা লক্ষ্য পূরণের পর খুশি হব ভেবে, সেই লক্ষ্য পূরণের যে জাড়নি সেটাই ইনজয় করতে ভুলে যায়। আমাদের একটা কথা বুঝতে হবে যে, প্রতিদিনের প্রতিটা কাজকে আমাদের আনন্দের সাথে করা উচিত।
খুশি কাজ করার মধ্যেও থাকে। শুধুমাত্র লক্ষ্য অর্জন করার দিনে না। আর কোন লক্ষ্য অর্জন করার জন্য যেহেতু আমাদের কাজ করতেই হবে। তাই নিজের হ্যাপিনেস কে ভবিষ্যতের কোনদিনের জন্য পোস্টপোন্ড করে রেখে কি লাভ।
আমরা যদি অন্যদেরকে ছোট ছোট হলেও সাহায্য করি, তাহলে আমাদের মন খুব খুশি থাকে। সেটা কোন বয়স্ক মানুষ কে
এরকম অনেক ছোট ছোট সাহায্যে আমরা প্রতিদিন কাউকে করতে পারি, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। এতে যেমন অন্য কারো জীবনে কিছুটা আনন্দ আসবে। আমাদেরও ভালো লাগবে।
মেডিটেশন আমাদের মনকে শান্ত এবং খুশি রাখতে সাহায্য করে। জীবনের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। আর আমাদের আনন্দে থাকা না থাকা অনেকটাই, আমাদের দ্বারা নেওয়া সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। তাই প্রতিদিন অল্প সময় হলেও মেডিটেশন আমাদের অবশ্যই করা উচিত।
আর সেটা সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে করতে পারলে খুব ভালো হয়।
আমাদের প্রতিনিয়ত নিজেদের আগের থেকে বেটার বানানোর চেষ্টা করা উচিত। আমরা যদি আজকে দাঁড়িয়ে দেখি যে আজ থেকে 2 বছর আগে আমি যেমন ছিলাম। আজকেও সেই একই রকম আছি নিজেকে একটু ইম্প্রুভ করিনি। তাহলে আমাদের মন অটোমেটিক্যালি খারাপ হয়ে যাবে।
নিজেকে বেটার বানানো। নিজের দুর্বলতাগুলোকে দূর করা এটি একদিনের কাজ নয়। এটা প্রতিদিনের প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব। তাই হঠাৎ কোনো রেজাল্ট পাওয়ার আশা না করে। আমাদের প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে উন্নত করার চেষ্টা করা উচিত।
আমরা যখন নিজেকে রেগুলারলি উন্নতি হতে দেখব। তখন আমাদের মনে হ্যাপিনেস একা একাই আসবে। কারন এরকম কোনো মানুষ আছে বলে আমার মনে হয় না। যে নিজেকে আগের থেকে বেটার হতে দেখে দুঃখ পাবে।
তাই খুশি থাকার জন্য
এবং জীবনের অন্যান্য সব দিকে আমাদের আজ থেকে নিজেকে অল্প অল্প করে হলেও বেটার বানানোর চেষ্টা করতে হবে। আশা করি এই কাজগুলো আপনাকেও খুশি থাকতে সাহায্য করবে।
বিষয়টি আপনার সমস্ত চেনা পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন এবং কোন জিনিসটা আপনাকে আপনার জীবনে খুশি থাকতে সাহায্য করে সেটা কমেন্ট করে অবশ্যই জানান।
সকলের সাফল্য কামনা করে আজকে এপজন্তই। এতক্ষন আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.