100+ মেয়েদের ইসলামিক সুন্দর নাম অর্থসহ

আপনি কি আপনার আদরের কন্যা শিশুদের জন্য সুন্দর ইসলামিক নাম খুঁজছেন? কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোন নামটি আসলে রাখলে ভালো হবে এবং কোন নামের অর্থই বা সুন্দর। তা আপনার এই দুশ্চিন্তার সমাধান করার জন্যই আমাদের আজকের পোস্ট। 

ইসলামে নামের গুরুত্ব অনেক। নাম মানুষের পরিচয় সকলের কাছে তুলে ধরে। তাই একটি নাম অর্থপূর্ণ ও  সুন্দর হওয়া উচিত। আনকমন নাম রাখার প্রতিযোগিতায় এখন মানুষ এমন অবান্তর আর কঠিন নাম রেখে থাকেন যা অনেকের কাছে উচ্চারণ করাই দুঃসাধ্য মনে মনে রাখার কথা আর কি বলব! তাই আপনার সন্তানের নামটি এমন ভাবেই রাখুন তা যেন মানুষের কাছে সহজবোধ্য হয় অর্থপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি। 

মেয়েদের ইসলামিক নাম রাখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন

মা-বাবায়ের দায়িত্ব প্রতিটি সন্তানের জন্য উত্তম ও সুন্দর নাম রাখা। একজন ব্যক্তির জীবনের নামের প্রভাব অনেক বেশি হোক সেটি খারাপ বা ভালো। অনেক সময় মা বাবা অজ্ঞতার কারণে সন্তানের এমন নাম রেখে দেন যা পরবর্তী জীবনের তার জন্য অনেক কষ্টকর ও বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি খারাপ অর্থের নামের কারণে মানুষ অনেক সময় কটুক্তির স্বীকারও হয়ে থাকেন। 

এইজন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন:

“সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক।”

এই হাদিস দ্বারা বোঝাই যাচ্ছে যে নাম কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষের জীবনে।‌ আর পিতা – মাতার উপরে কত বড় একটি দায়িত্ব এটি। 

যখনই আপনি আপনার সন্তানের কোন নাম রাখবেন অবশ্যই এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন যে আপনি কোন অর্থের নাম রাখছেন এবং যেই অর্থটা আপনি দেখে রাখছেন সেটি আসলেই সঠিক কিনা, সেই উৎস সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নিন। 

অনেকের একটি স্বভাব থাকে যে কোরআন শরীফে কোন নাম দেখলেই তা রেখে দেন, ভাবেন কোরানের নাম মানেই সুন্দর কিন্তু কোরআনে যেমন নবীর নামের কথা আছে ঠিক তেমনি ফেরাউনের কথাও আছে। তার মানে এই না যে আপনি আপনার সন্তানের নাম ফেরাউন রেখে দিবেন যেহেতু এটা কুরআনে রয়েছে!!

অনেক মেয়েরাই বিয়ের পর তাদের স্বামীর নাম তাদের নামের শেষে যোগ করেন বাবার নাম বাদ দিয়ে। এটি কখনোই করা উচিত নয় এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কারণ কেয়ামতের দিন একজন মানুষকে তার নাম ও তার বাবার নাম ধরে ডাকা হবে। 

অনেকে আল্লাহর নাম তাদের সন্তানের জন্য রেখে থাকেন যেমন: রহমান। এক্ষেত্রে সরাসরি আল্লাহর নাম রাখা যাবে না। যদি কেউ রাখতে চায় তাহলে তার আগে মোহাম্মদ বা অন্য কোন নাম যুক্ত করে রাখতে হবে। কারণ এগুলো আল্লাহর গুণবাচক নাম। 

মেয়ে শিশুর সুন্দর নাম অর্থসহ 

  1. আক্তার অর্থ ভাগ্যবান 
  2. আতিকা অর্থ সুন্দরী আফনান 
  3. অনিসা অর্থ কুমারী। 
  4. আয়েশা অর্থ সমৃদ্ধশালী। 
  5. আরিফা অর্থ প্রবল বাতাস। 
  6. আফিয়া আদিবা অর্থ পুণ্যবতী শিষ্টাচারী
  7. আনিকা অর্থ রূপসী। 
  8. আবিদা অর্থ কুমারী ইবাদতকারিনী
  9. ইশরাত অর্থ সাহায্য।
  10. উদ্দিপ্ত অর্থ আলো থেকে বেরিয়ে আসে যে। 
  11. কুলসুম অর্থ দানশীলা। 
  12. খাদিজা অর্থ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রথম স্ত্রী। 
  13. ছাফওয়া অর্থ সারাংশ। 
  14. জেসমিন অর্থ এক প্রকার ফুল। 
  15. জাহান অর্থ পৃথিবী। 
  16. তাবাসসুম অর্থ মুচকি হাসি। 
  17. তাসফিয়া অর্থ পবিত্রতা। 
  18. তামান্না অর্থ ইচ্ছা। 
  19. নিশাত অর্থ আনন্দ। 
  20. প্রত্যাশা অর্থ কামনা। 
  21. ফাইজা অর্থ বিজয়িনী। 
  22. ফাতেহা অর্থ আরম্ভ। 
  23. রওশন অর্থ উজ্জ্বল। 
  24. লাবণ্য অর্থ সৌন্দর্য। 
  25. লুবাবা অর্থ খাতি। 
  26. সালমা সাবা অর্থ প্রশান্ত সুবাসি ভাতা। 

পরিশেষে 

পৃথিবীর আর কোন ধর্মেই কিন্তু ইসলামের মতো নামকে এত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়নি বা এর জন্য তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আসেনি। তার মানে ইসলামে যে নামের গুরুত্ব কত বেশি ও মর্যাদাপূর্ণ তা বোঝার অবকাশ নেই। তাই সন্তানের নাম রাখার পূর্বে অবশ্যই ইসলামিক নাম রাখুন। আপনি যদি নামের ব্যাপারে ততটা ভালো না বুঝে থাকেন তাহলে নিকটস্থ কোন আলেম বা মসজিদের ইমামের কাছে জেনে নিন। 

Leave a Reply