MRI Scan: এম আর আই কীভাবে করা হয়। মানুষের শরীরের রোগ নির্নয়।

MRI scan বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ট চিকিৎসা হিসেবে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত। যা অগনিত মানুষের জীবন বাচিয়েছে বা আয়ু বাড়িয়েছে। আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগলে এবং কোন ভাবেই রোগ নির্নয় না হলে সাধারণত এম আর আই ( MRI) করা হয়ে থাকে

MRI এর অর্থ হলো Magnetic resonance imaging.

MRI হলো সবচেয়ে অত্যাধুনিক রোগ নির্নয়কারী Technology, যার সাহায্য মানুষের শরীরকে scan করে রোগ নির্নয় করা হয়।

মানুষের শরীরের অভ্যন্তরীন অঙ্গের খুব স্পষ্ট ছবি নেওয়া হয়। যাতে করে মানবদেহের নিদিষ্ট রোগ খুজে বের করা যায়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি রেডিওলোজী বিভাগের অন্তর্গত। তবে রেডিওলোজী বিভাগের অন্যান্য পরীক্ষা এক্সরে বা সিটি স্ক্যান এর মতো MRI পরীক্ষাতে মানব শরীরের জন্য কোন ক্ষতিকারক বিকিরন ব্যবহত হয় না।

এক কথায় কোন ব্যাক্তির রোগ নির্নয়ে সব থেকে যে আধুনিক প্রযুক্তি সেটাই এম আর আই (MRI) স্ক্যানার।

এম আর আই (MRI) scanner কীভাবে কাজ করে।

এম আর আই আপনার শরীরের ছবি নেয়ার জন্য

  • অতন্ত্য শক্তিশালী চুম্বক তরঙ্গ
  • শক্তিশালী কম্পিউটার ব্যবহার করে।

এখানে আবারো মনে করিয়ে দেই যে এখানে এক্সরে বা সিটি স্ক্যান এর মতো এম আর আই এ কোন ক্ষতিকারক বিকিরণ ব্যবহার করা হয় না।

কী কারনে এম আর আই (MRI) পরীক্ষা করা হয়।

শরীরের বিভিন্ন অংশের সুক্ষ রোগ নির্নয়ের জন্য বর্তমানে এম আর আই একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।

সাধারনভাবে এম আর আই দ্বারা নিম্নলিখিত রোগ নির্নয় করা যায়ঃ

  • মস্তিষ্কের রোগ। যেমনঃ টিউমার, স্ট্রোক ইত্যাদি নির্নয় করা যায়।
  • মেরুদণ্ডের রোগ বা আঘাত নির্নয়ে ব্যবহার করা হয়।
  • মহিলাদের স্তন ও তলপেটের সমস্যা।
  • প্রস্টেট ক্যান্সার।
  • লিভারের সমস্যা।
  • নাক কান গলার সমস্যা ইত্যাদি।

মোট কথা যেসব রোগ সাধারণভাবে নির্নয় করা বেশ কঠিন। সেই জটিল ও কঠিন রোগগুলো খুব সহজেই এম আর আই (MRI) স্ক্যানার এর সাহায্যে নির্নয় করা যায়।

কীভাবে এম আর আই (MRI) পরীক্ষা করা হয়।

এম আর আই পরীক্ষার জন্য সাধারণত বিশেষ কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। কেননা এটা অত্যন্ত সহজ ও ব্যাথামুক্ত পদ্ধতি। তবে পরীক্ষা করার আগে রোগীকে অবশ্যই দেহ হতে, সকল ধরনের ধাতব বস্তু অপসারন করতে হবে। কেননা যেহেতু এই প্রসেস চুম্বক শক্তির সাহায্যে ব্যবহার করা হয়।

উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্য এম আর আই স্ক্যানার টি প্রায় ১.৫ মিটার দীর্ঘ একটি সুরঙ্গের মতো। যা একটি বড় গোলাকার চুম্বক দ্বারা বেষ্টিত।

রোগী একটি পালঙ্কের উপর শুয়ে থাকবে যা স্ক্যানার এর মধ্যে ঢুকে যাবে। শরীরের যে অংশের পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাতে একটি রিসিভার ডিভাইস লাগানো হয়। যা সে অংশের চতুর্দিকে বা পিছনে স্হাপন করা হয়। এই রিসিভার ডিভাইস টি একটি এরিয়াল এর মতো কাজ করে। এবং এটি আপনার শরীর থেকে নির্গত ক্ষুদ্র রেডিও সংকেত সনাক্ত করে।

এই সতন্ত্র সংকেতগুলি দ্রুত স্হানীয় চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পরিবর্তন করে। ও বিশেষ কম্পিউটার প্রক্রিয়ার দ্বারা, শরীরের যে অংশের পরীক্ষা করা হয় সে অংশের ছবি উৎপাদন করে। এম আর আই পরীক্ষাটি যন্ত্রণাহীন।

যখন স্ক্যানার কাজ করে তখন এটি দুম দাম শব্দ তৈরি করতে পারে।

এজন্য আপনার কানে হেডফোন লাগিয়ে দেয়া হতে পারে। এই শব্দ স্বাভাবিক, আপনার চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।

একটি পরীক্ষা সম্পন্ন হতে ১০ থেকে ৪০ মিনিট সময় ব্যয় হয়। তবে পরীক্ষা ভেদে ৬০ মিনিট বা তার বেশি সময় লাগতে পারে। পরীক্ষা চলাকালীন রোগীর উচিৎ সম্পূন্য শিথিল থাকা। কোনরকম নড়াচড়া করলে ছবি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।

যে সকল রোগী এম আর আই পরীক্ষার জন্য শান্তভাবে শুয়ে থাকতে পারেন না। তাদেরকে এই পরীক্ষাকালীন সময়ের জন্য হালকা ঘুম পাড়িয়ে দেয়ার জন্য, শিরাতে একটি ইনজেকশন দিতে হয়।

সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা সম্পন্ন করা হয়।

আরও পড়ুন 

সুন্দর করে কথা বলে মানুষের মন জয় করার টিপস

এম আর আই করাতে কত খরচ হয়।

বাংলাদেশে এম আর আই করাতে মোটামুটি ৬০০০ থেকে ১০০০০ টাকার মতো খরচ হবে। আর অন্যান্য খরচ সহ আপনার মোট ৮০০০ থেকে ১৫০০০ টাকার মতো খরচ হবে।

তবে আপনি যদি দীর্ঘদিন নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগেন, তবে সেচ্ছায় পুরো দেহের এম আর আই করাতে পারেন।

এতে পুরো দেহের সমস্যাগুলো সহজে চিহ্নিত হবে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন, সুস্থ থাকুন,  ভাল থাকুন।

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *