রোজা ভঙ্গের কারণ, কি করলে রোজা ভাঙ্গবে। কি করলে ভাঙ্গবে না-Mizanur Rahman Azhari

সম্মানিত ভাই এবং বোনেরা, আমরা এখন জানব যে কি করলে আপনার রোজা ভাঙ্গে। আসলে রোজা বা সিয়াম এর সঙ্গার দিকে তাকালেই কিন্তু আমরা পড়ে বুঝে ফেলি কি কাজ করলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।

রোজা বা সিয়াম এর সংঙ্গার: সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়ত সহকারে পান করা এবং স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মেলামেশা থেকে বেঁচে থাকার নামই হচ্ছে সিয়াম।

এই সংঙ্গা ভিত্তিতে আমরা বুঝতে পারি যে

রোজা ভঙ্গের কারণ, কি করলে রোজা ভাঙ্গবেঃ

  1. আপনি যদি ইচ্ছা করে যদি কিছু খান আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
  2. দ্বিতীয়তঃ ইচ্ছা করে যদি কিছু পান করেন তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে এবং
  3. আপনি যদি ইচ্ছা করে ফিজিক্যাল ইন্টারকোর্স করেন হাসবেন্ড ওয়াইফ যদি দিনের বেলা ফিজিক্যাল ইন্টারকোর্স করে রামাদান এবং এতে যে তাদের সিমেন আউট হয় বীর্যপাত হয় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
  4. ইচ্ছা করে যদি বমি করেন তাহলে কিন্তু আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
  5. ৫ নম্বর হচ্ছে স্ত্রীর না মানে হচ্ছে মাস্টারবেশন বাংলায় যেটাকে বলে হস্তমৈথুন এটা অনেক যুবক ভাইদের এই অন্ধকার জগতের সাথে পরিচয় ঘটে গিয়েছে আল্লাহ তাদেরকে হেফাজত করুক। এই মাস্টারবেশন এটা বড় ধরনের একটা কবিরা গুনা স্থীর না। যদি হস্তমৈথুনের মাধ্যমে কেউ বীর্যপাত করেন তাহলে কিন্তু তার রোজা ভেঙে যাবে।
  6. ৬ নাম্বার হচ্ছে আল হিজামা কাপিং শিঙ্গা লাগানো। শিঙ্গা লাগানো সুন্নত। রাসুল ( সা:) শিঙ্গা লাগাতেন। শিঙ্গা লাগানো হচ্ছে এক ধরনের কাপ লাগানো যে টা লাগালে দেহের পচা রক্ত, দূষিত রক্ত বের হয়ে যায়। আপনার দেহের জে পেইন বা ব্যথাগুলো ভালো হয়ে যাবে। এতে অনেক পরিমান রক্ত বের হয়। চায়ের কাপের কাপ পরিমাণ যদি রক্ত দেহ থেকে রক্ত বের হয়ে যায় তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
  7. সর্বশেষ হচ্ছে স্মোকিং। যারা স্মোক করেন সাবধান। আপনি স্মোক করলে সিগারেট খেলে কিন্তু আপনার রোজা ভেঙে যাবে। অবশ্যই রোজা অবস্থায় কিন্তু আপনি স্মোকিং করতে পারবেন না, তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।

তো এই সাতটি কাজ যদি আপনারা করেন ইন্টারন্যাশনালি বা ইচ্ছাকৃত করেন তাহলে কিন্তু আপনার রোজা ভেঙে যাবে। এখন ইচ্ছাকৃত যদি রোজা ভাঙ্গে তাহলে ওই রোজার জন্য কিন্তু শুধু কাজা করলে হবেনা আপনাকে কাফফারা দিতে হবে।

কাফফারা কি?

ইচ্ছা করে একটি রোজা ভাঙলে আপনাকে দুই মাস ৬০ টা রোজা রাখতে হবে এটাই কাফফারা।

৬০ টা রোজা রাখতে হবে তাও লাগাতার, আপনি কিছু রাখার পর যদি ভেঙে ফেলেন তাহলে কাজ হবে না। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

কিন্তু আপনি একটি রোজার কারণে যে সাইটটি রোজাও রাখেন, রমাদানের রোজার যে বরকত সেটা কি আপনি পাবেন। কখনই সেটা আপনি পাবেন না। এজন্য কোনক্রমেই যাতে ইচ্ছাকৃত আমরা রোজা ভেঙ্গে না ফেলি। এই রোজার বরকত থেকে যাতে আমরা বঞ্চিত না হই।

এখনকার অবস্থা যদি এমন হয় যে রোজা ভেঙে ফেলেছেন একটা। ৬০ টা রোজা রাখা তার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব না অসুস্থ তখন তিনি কাফফারা দেবেন অর্থাৎ ৬০ জন মিসকিন কে তিনি খাবার খাইয়ে দিলে হয়ে যাবে।

আশা করি আপনারা বুঝে গিয়েছেন যে কি কি কাজ করলে রোজা ভাঙ্গে।

 

এবার জানবো, এমন কিছু কাজ যেগুলো করলে রোজা ভাঙবে না এবং এটা আজকের এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আপনাকে খেয়াল করে বুঝে নিতে হবে মাসআলাগুলো।

এ কিছু কিছু বিষয় নিয়ে আমরা রমাদান আসলে রোজা রাখা অবস্থায় কনফিউশনে থাকি যে, এই কাজটা আসলে করা জায়েজ কি না। করলে রোজা ভাঙবে কিনা এগুলো আমরা এখন জানব।

যে কি কাজ করলে আসলে আপনার রোজা ভাঙ্গে নাঃ

  • প্রথমত হচ্ছে আপনি যদি ভুল করে খেয়ে ফেলেন।  অনাইচ্ছাকৃত ভাবে খাবার যদি আপনি খেয়ে ফেলেন অথবা পান করে ফেলেন। কিছু পানি খেয়ে ফেলেন বা ড্রিঙ্কস করে ফেললেন, আপনি শরবত খেয়ে ফেললেন, সোডা খেয়ে ফেললেন, যদি ভুল করে খান তা হলে রোজা ভাঙবে না। সুবহানাল্লাহ ইসলাম কত সহজ।
  • ভুল করে কেউ কিছু যদি করে, কেউ যদি ভুলে যায়। তাহলে এটার কোন গুনা ইসলামে নাই, সুবহানাল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন আমাদের জন্য।
  • আপনার অভ্যাস এরকম যে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আপনি এক গ্লাস পানি খান। এখন রোজা অবস্থায় আপনি ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি খেয়েছেন। খাওয়ার পর চিন্তা হলো রে আমিতো রোজা, রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ আপনি ভুল করে খেয়েছেন। ভুল করে খেলে রোজা ভাঙ্গে না।
  • আপনি ভুল করে যদি পেট ভরে গোশত বিরিয়ানি কালিয়া দিয়ে পেট ভরে খাবার খেয়ে ফেলেছেন, এরপর হঠাৎ করে খাওয়ার পড়ে মনে হল রে আমি তো রোজা রেখেছি আপনার রোজা ভাঙবে না। কারণ আপনি ভুল করে খেয়েছেন।

সে ভুলে গিয়েছিল, তাহলে ভুল করে খেলে বা পান করলে আপনার রোজা ভাঙবে না।

  • পাশাপাশি জোর করে যদি আপনাকে কেউ কিছু খাওয়ায় তাতে ও  কিন্তু আপনার রোজা ভাঙ্গে না।

অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে ব্লাড টেস্ট করা যাবে কিনা রোজা রাখা অবস্থায়ঃ

আমরা সাজেস্ট করি ইফতারির পরে আপনারা ব্লাড টেস্ট করবেন। ইফতারির পর থেকে দশটা এগারোটা বারোটা পর্যন্ত সিম্প্লি হসপিটাল খোলা থাকে। আর কোনো কারণে দিনের বেলাতেই করতেই হয় ব্লাড টেস্ট তাহলে অল্প রক্ত নিয়ে করা হলে রোজা ভাঙবে না।

এক্ষেত্রে মেজারমেন্ট হচ্ছে কাপিং বা শিঙ্গা লাগানো

শিঙ্গা লাগাতে যে পরিমান রক্ত বের হয়। শিঙ্গাতে কমপক্ষে চায়ের কাপের পরিমাণে এক কাপ পরিমান রক্ত বেরোয়। এই পরিমাণ যদি আপনার ব্লিডিং হয় বা রক্ত নেয়া হয় সিরিঞ্জ দিয়ে বা ৫,৬ সিরিঞ্জ তাহলে কিন্তু রোজা ভেঙে যাবে। কিন্তু এক সিরিঞ্জ বা দুই সিরিঞ্জ দিয়ে যদি কোনো কারণে ছোট সিরিঞ্জ দিয়ে যদি আপনার ব্লাড টেস্ট করায় লাগে ইন কেস অফ ইমারজেন্সি এতে আপনার রোজা ভাঙবে না ইনশাআল্লাহ।

এরপর অনিচ্ছাকৃত যদি বমি চলে আসে রোজা ভাঙ্গে না।

আমরা আগে বলেছিলাম ইচ্ছা করে বমি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। কিন্তু অনিচ্ছাকৃত বমি যদি আপনার হয় এতে আপনার রোজা ভাঙবে না।

তারপর Nose ব্লিডিং, নাক দিয়ে যদি রক্ত বেরোয়ঃ

অল্প হলে রোজা ভাঙবে না। কিন্তু একটা কাপিং, কাপ পরিমাণ যদি হয়। এবং খুব বেশি পরিমাণে না হলে ইনশাল্লাহ রোজা ভাঙবে না। আপনি বন্ধ করে ফেলবেন। নাক ধরে ফেলবেন যাতে বেশী রক্ত না বের হয়।

অনেকের দাঁত উঠানো লাগে রোজা অবস্থায়। দাঁত নড়বড়ে হয়ে আছে।

রোজা অবস্থায় আপনার দাঁত পড়ে গেল। তখন কিন্তু দাঁত দিয়ে যাতে খুব বেশি রক্ত বের না হয়, আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। খুব বেশি বের হয়ে যদি এক কাপ পরিমান। আসলে দাঁত ফালানোর সময় এত রক্ত বের হয়না। তো দাঁত ফালানোর পরে আপনাকে বিল্ডিং টা বন্ধ করে ফেলতে হবে। মুখে মধ্যে চেপে টিস্যু দিয়ে বা তুলা দিয়ে ইনশাল্লাহ আপনার রোজা ভাঙ্গবে না।

ইনজেকশন নেওয়া যাবে কিনাঃ

এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মাসালা এটা একটু ভালো করে জেনে নিন, রোজা অবস্থায় ইনজেকশন নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, যদি চারটা শর্ত পাওয়া যায়ঃ

  1. ইনজেকশন যদি এনার্জেটিক হয় অর্থাৎ শক্তিবর্ধক এনার্জেটিক হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
  2. তারপর এটা যদি ফুড সাপ্লিমেন্ট হয়। মানে খাদ্যের পরিপূরক যদি হয়, এখন এরকম অনেক ইনজেকশন পাওয়া যায় যেটা আপনার দেহে পুশ করে দিলে আপনার তিনদিন চারদিন ক্ষুধা লাগবে না। আর শক্তিতে ভরপুর থাকবে আপনার দেহ। এটা ভিটামিন মিনারেল দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এই ইনজেকশন নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
  3. এরপর যদি সেটা আপনার ইনজেকসনটা যদি নিউট্রিশিয়ান পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
  4. আপনার পাকস্থলীতে যদি ইনজেকশনের ঔষধের কিছু অংশ ঢুকে তাহলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।

আমি আবার সহজ করে বলে দিচ্ছি প্রথমত ইনজেকসনটা যদি এনার্জিটিক হয় শক্তিবর্ধক হয় রোজা ভেঙে যাবে ফুড সাপ্লিমেন্ট এর যদি হয় খাদ্য সহায়ক রোজা ভেঙে যাবে। ইনজেকসনটা যদি নিউট্রিশিয়ান পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। আর যদি আপনার পাকস্থলীতে ঢুকে যায় পাকস্থলী তে পৌঁছে গেল রোজা ভেঙে যাবে। এই চারটার বাইরে কোন ইনজেকশন রোজা ভাঙবে না।

প্রচন্ড ব্যথা, ব্যথা নাশক ইনজেকশন, পেইনকিলার ইনজেকশন দিলে তা রোজা ভাঙবে না।

এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন রোজা ভাঙ্গবে না।অনেকের ভ্যাকসিন দিতে হয় এতে রোজা ভাঙবে না। এই জাতীয় কোন ভ্যাকসিন এন্টিবায়োটিক ইনজেকশনের পেইনকিলার ইনজেকশন আপনার রোজা ভাঙ্গবে না, এই হচ্ছে ইনজেকশনের মাসালা।

এরপরে কিছু কমন বিষয় দৈনন্দিন জীবনে আমরা ব্যবহার করি এগুলো নিয়ে কনফিউশন থাকেঃ

  • এক নম্বর টুথপেস্ট

যে রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যাবে কিনা, ব্রাশ করা যাবে কিনা। সে ক্ষেত্রে আমার সাজেশন হচ্ছে না দিনের বেলা রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট ব্যবহার করে ব্রাশ করবেন না। আমি সাজেস্ট করি আপনি সেহরি খাওয়ার পরে আযানের আগেই টুথপেস্ট ব্রাশ করে ফেলবেন। আর দিনের বেলা মেসওয়াক করবেন। মেসওয়াক করার জন্য আপনাকে অনেকবার আঁকা। বিশ্ব নবীর জীবনের শেষ দিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে তিনি মেসওয়াক করেছিলেন।

এজন্য আপনি সেহরি খেয়েই ব্রাশ করবেন। আর দিনের বেলা মেসওয়াক করবেন। কিন্তু কোন কারণে যদি কেউ টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে, পেস্ট ইউজ করে যদি ব্রাশ করে দিনের বেলা তার রোযা কিন্তু ভাংবেনা।

পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করতে আমরা উৎসাহিত করি, কিন্তু কোন কারণে দিনের বেলা টুথপেস্ট ব্রাশ করলে রোজা ভাঙ্গবে না।

  • দ্বিতীয়ত আই ড্রপ

মানে চোখের ড্রপ ইউজ করা লাগে অনেক সময়। চোখের রোগী যারা, চোখের ড্রপে ইনশাল্লাহ না রোজা ভাঙবে না।

  • কানের র্ড্রপ

কানের ড্রপ দিলে রোজা ভাঙবে না।

  • সুরমা ইউজ করলে

সুরমা ইউজ করলে চোখে রোজা ভাঙ্গে না।

 

  • ইনসুলিন যদি ইউজ করলে

ইনসুলিন যদি ইউজ করে। ডায়াবেটিক পেশেন্ট, এখন ডায়াবেটিসের ইনসুলিন যদি দেওয়া লাগে দিনের বেলায় রোজা ভাঙবে না।

  • এরপর আতর ইউজ করলে

আতর ইউজ করলে ইনশাল্লাহ রোজা ভাঙ্গে না আশাকরি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।

  • নাকের ড্রপ

নাকের ড্রপ এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ আপনি যখন নাকের ড্রপ দেন এটা টান দিতে হয় ফলে আপনার গলায় চলে যায়। তিতা একটা ভাব, যতই আপনি থুতু ফেলে দেন আস্তে আস্তে এটা পাকস্তলির ভিতরে চলে যাওয়ার কিন্তু একটা সম্ভাবনা আছে। এজন্য রোজা অবস্থায় নাকের ড্রপ দেয়া যাবে না, রোজা ভেঙে যাবে।

সর্বশেষ কথা আমার আলোচনার সেটা হচ্ছে রোজা রাখা অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে খাবারের স্বাদ নেয়া যাবে কিনাঃ

এটা গুরুক্তপূন্য যারা রেস্টুরেন্টে কাজ করেন তাদের জন্য। ইফতার মাহফিলে 500 জন লোক খাবে আপনি বাবুর্চি বিরিয়ানি রান্না করছেন। সে ক্ষেত্রে যদি ঝাল খুব বেশি হয়ে যায়, এবং লবণ খুব বেশি হয়ে যায়, তাহলে 500 জন রোজাদার ভাইয়ের কষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে আপনি খাবারের কিছু অংশ জিব্বার অগ্রভাগে, মানে জিব্বা সামনের অংশ দিয়ে আপনি একটু স্বাদ নিয়ে দেখলেন যে ঝাল এবং লবণ ঠিক আছে কিনা।

সাথে সাথে থুতু ফেলে দিয়ে আপনি কুলি করে ফেলবেন। ইনশাল্লাহ এতে আপনার রোজা ভাঙবে না।

তো সম্মানিত পাঠক দীর্ঘসময় নিয়ে আমরা জেনেছি কি করলে রোজা ভেঙ্গে যায়, এবং সর্বশেষে শুনেছি এমন কিছু কাজ যেগুলো করলে আপনার রোজা ভাঙ্গে না তো আশা করি এই সিয়ামের মাসালা এগুলো থেকে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

Releted–

রোজা রাখার উপকারিতা। Roja Rakhar upokarita.

রোজা রাখার নিয়ত। Rojar niyot, ইফতারের দোয়া, রোজা রাখার দোয়া।

Fatema Akter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *