রোজা রাখার নিয়ত। Rojar niyot, ইফতারের দোয়া, রোজা রাখার দোয়া।

আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে ভালো আছেন।

রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া সকল মুসলমানের মুখস্ত আছে। তবুও একবার রিভাইজ করে নেওয়া উত্তম।
আজকের এপিসোডে রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এবং এর দলিল তুলে ধরব যাতে আপনার ইবাদত ও বিশ্বাসের মধ্যে কেউ কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে না পারে।

তো চলুন শুরু করি প্রথমে জানবো ইফতারের দোয়া

মুয়ায ইবনে যুহরা ( রা:) থেকে বর্ণিত তার নিকট হাদিস পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় বলতেন:

উচ্চারন: ” আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন “

অর্থঃ হে আল্লাহ আমি আপনার উদ্দেশ্যেই রোজা পালন করেছি এবং আপনার দেয়া রিযিক দ্বারাই ইফতার করেছি। ( আবু দাউদ, হাদিস নং ২৩৫৮ )

আবু দাউদ শরীফের হাদিস দ্বারা স্পষ্ট যে রোজার ইফতার করার সময় আমরা যে দোয়া পাঠ করি সেটা সম্পূর্ণ সুন্নতি দোয়া তাই পরবর্তীতে কেউ যদি বলে এসমস্ত বানানো তাহলে তার কথায় কর্ণপাত করবেন না।

এবার জানবো রোজা রাখার নিয়ত।

রোজার নিয়ত হাদিস দ্বারা জেনে নিই, বুখারী শরীফের প্রথম হাদীসে উল্লেখ আছে হযরত ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি [ ইন্নামাল আমালু বিন্নিয়াত ]

অর্থাৎ প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভর করে। নামাজ পড়লে আপনি কোন ওয়াক্তের কী নামাজ পড়ছেন ফরজ নাকি ওয়াজিব, নাকি নফল এই নিয়ত থাকতে হবে।

তেমনি রোজা রাখার ক্ষেত্রে আপনি কোন রোজা রাখছেন

  • ফরজ রোজা
  • নাকি নফল রোজা
  • নাকি মান্নতের রোজা তার নিয়ত থাকতে হবে।

আপনি বাড়ি থেকে বেরোনোর পূর্বে কোথায় যাবেন তার নিয়ত ঠিক করতে হয়। নিয়ত ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হয়না। নিয়ত ছাড়া এমনি বেরিয়ে গেলে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সম্ভব নয়।

আসুন এবার মূল বিষয়ে আসি। নিয়তের কথা হাদিস দ্বারা পেলাম। কিন্তু কিভাবে নিয়ত করতে হবে সেটা পেলাম না

কেউ যদি মনে মনে নিয়ত করে আমি কালকের জন্য রোজা রাখবো তাহলেই যথেষ্ট। তবে একটু সুন্দর ভাবে একটু বিস্তারিতভাবে নিয়ত করা আরও উত্তম মনে মনে নিয়ত করে যথেষ্ট। মৌখিক নিয়ত জরুরী নয়। মৌখিক নিয়ত করা মুস্তাহাব ভালো তাই আমি রোজার নিহত আপনাদের সামনে তুলে ধরছি

রোজা রাখার নিয়ত।

উচ্চারন: নাওয়াইতুয়ান আসুমা গাদাম মিনশাহরি রামাদ্বানাল মুবারাকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বাববাল মিন্নী ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করছি। অতএব তুমি আমাকে কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্ব জ্ঞানী।

রোজার বিধান:

হে ঈমানদারগন, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেরুপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা পরহেজগারী অর্জন করতে পার। [ সূরা আল বাকারা, আয়াত নং: ১৮৩ ]

Releted,

রোজা রাখার উপকারিতা। Roja Rakhar upokarita.

Fatema Akter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *