ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়ার উপায় | how to be a good content writer bangla

বর্তমানের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগটা কিন্তু চলছে কন্টেন্ট এর উপরে। বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রয়েছে এখন তেমন: ভিডিও কন্টেন্ট, গ্রাফিক্স কন্টেন্ট বা আরো অন্য কোন ধরনের কন্টেন্ট। তথ্যের এই যুগে যেই ধরনের কনটেন্ট ছাড়া অনলাইন জগতে একেবারে অচল সেটি হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং বা লেখা কন্টেন্ট।

মানুষ আজকাল যে কোন বিষয়ে জানতে চাইলে বা কাউকে জানাতে চাইলে প্রথমে যেই কাজটি করে যে একটু গুগোল করে নেয় যে, ঐ বিষয় সম্পর্কে গুগল কি বলছে বা google -এ কি তথ্য রয়েছে। আর এই যে তারা তথ্যগুলো চট করে কয়েক সেকেন্ডের ভিতরই পেয়ে যাচ্ছে এর পিছনে কিন্তু কেউ না কেউ কাজ করে তাদেরকেই বলা হয় কন্টেন্ট রাইটার বা শব্দের জাদুকর।

কিন্তু আসলে কনটেন্ট রাইটার বা কনটেন্ট রাইটিং বলতে আপনি কি বোঝেন এবং কিভাবে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হব এটি অনেকেরই প্রশ্ন। আপনার এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই  আজ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরব এই পোষ্টের মাধ্যমে।

কিভাবে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হব?

বর্তমানে আমরা এমন একটি যুগে বাস করি এটাকে বলা হয় তথ্যের যুগ বা তথ্যের সমুদ্রে আমরা বাস করি। আপনি যেই দিকেই তাকান না কেন বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট, বিভিন্ন ধরণের ইনফরমেশন আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। এই যে এত কনটেন্ট, এত লেখালেখি এগুলোর পিছনে কেউ না কেউ তো অবশ্যই কাজ করে থাকে। এদেরকেই বলা হয় কনটেন্ট রাইটার, আর উনারা যে লেখাগুলো লিখে থাকেন মানুষের জন্য সেগুলোকে বলে কন্টেন্ট রাইটিং। 

অনলাইনে যেমন ওয়েবসাইটের অভাব নেই ঠিক তেমনি একই বিষয়ের উপরে কন্টেন্টেরও অভাব নেই। তাহলে একজন রিডার কেন আপনার কন্টেন্ট পড়বেন? অবশ্যই আপনার লেখার মধ্যে এমন কোন বিশেষত্ব থাকতে হবে যার জন্য রিডার আপনার লেখাটিকে নির্বাচন করবেন পড়ার জন্য। 

আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি একজন ভালো কন্টেন রাইডার হতে পারেন যা আপনার রিডারকে আপনার লেখাটি পড়তে আগ্রহী করে তুলবে। 

রিডার সম্পর্কে জানুন

যিনি আপনার লেখাটি পড়ছেন তার চাহিদা কেমন? তিনি কি বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন আপনার কাছে? একজন রিডার যখন আপনার লেখা কনটেন্টটি পড়ার শুরুতেই নিজেকে রিলেট করতে বা সামঞ্জস্য খুঁজে পাবেন তখনই কিন্তু তিনি আপনার লেখাটি পুরো পড়ার একটি আগ্রহ প্রকাশ করবেন। আর এই আগ্রহ যতক্ষণ পর্যন্ত না আসবে ততক্ষণ আপনি রিডারকে আপনার লেখায় ধরে রাখতে পারবেন না । তাই লেখার শুরুতেই সব সময় আপনি কোন অডিয়েন্স বা রিডার এর জন্য লিখছেন সেটির কথা মাথায় নিয়ে আপনার লেখাটি লিখুন। 

পূর্ব ধারণা নিন

যে বিষয়টি আপনি লিখতে বসেছেন সেটি সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা নিজের মাথায় নিয়ে নিন লেখার পূর্বে। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি একটি বিষয় সম্পর্কে নিজে ভালোভাবে জানছেন ততক্ষণ পর্যন্ত কিন্তু আপনি অন্য কাউকে ভালোভাবে সেটা জানাতে বা বোঝাতে পারবেন না। আর একটি কনটেন্ট মানে শুধু কিন্তু একটি লেখা নয়, এটি আপনার বক্তব্য, আপনার কথা যা মানুষ লেখা পড়ে পাবে, যেন সে বুঝতে পারে যে এটি কেউ তাকে কথার মাধ্যমে বোঝাচ্ছে লেখা না!! ঠিক এমন জাদু থাকতে হবে আপনার লেখায় যেন তা রিডারকে ধরে রাখে আপনার লেখার মধ্যে।

লেখার পূর্বে কাঠামো ঠিক করুন

আপনি যখন একটি লেখা আপনার রিডারের জন্য বা ওয়েবসাইটের জন্য লিখছেন তখন প্রথমেই আপনি একটি গঠণ বা স্ট্রাকচার তৈরি করুন আপনার লেখার যে, কি কি বিষয়গুলো বা কোন কোন তথ্যগুলো থাকা উচিত আপনার লেখায়, যেগুলো মানুষ জানতে চায় বা যেগুলো অন্যান্য ওয়েবসাইটে নেই। কন্টেন্ট হলেই যে সেটি ভালো মানের লেখা হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার লেখাটির গঠণ কতটা ভালো সেটার উপরে কিন্তু অনেকটা নির্ভর করে সেটি মানুষের কাছে পছন্দনীয় হবে কিনা।

সঠিক নিয়মে চর্চা করা 

একজন ভালো রাইটার হওয়ার জন্য আপনি হাজার ধরনের তরিকা বা নিয়ম নিজের উপরে এপ্লাই করলেন, নিজের লেখায় তা এপ্লাই করলেন। কিন্তু যদি আপনি এপ্লাইয়ের পর খাতা-কলম নিয়ে বা কিবোর্ডে নিজের হাত না চালান তাহলে কিন্তু এই নিয়মের কোনোটিই আপনার কোন কাজে আসবে না। 

চর্চা বিষয়ে বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে, Practice makes a man perfect.

কিন্তু আমি এর উল্টোটা বলবো আপনাকে!? অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! অবাক হবেন না..

আপনি কোন কিছু জগাখিচুড়ি অবস্থায় চর্চা করে গেলেন একনাগারে তাহলে এটি কিন্তু আপনার কখনই কোন কাজে আসবেনা। আপনাকে সেই বিষয়টি সঠিক নিয়মে জেনে বুঝে তারপর চর্চা করতে হবে। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে বলবো…

Practice does not make perfect only perfect practice makes perfect. 

আর সবসময় একটি কথা মনে রাখবেন যে কোন বিষয়ে সফলতার মূলমন্ত্র হলো ধারাবাহিক চর্চা। 

রিভিশন 

আপনি যেই লেখাটি লিখেছেন হয়তো অনেক কনফিডেন্ট ও আত্মবিশ্বাসের সাথে লিখেছেন কিন্তু লেখাটি শেষ হওয়ার পর অবশ্যই পুনরায় একবার হলেও পড়ে দেখবেন। এতে করে আপনি আপনার ভুলগুলো নির্ধারণ করতে পারবেন। কারণ অনেক সময় লেখায় আমরা এতটা মনোযোগী থাকি যে নিজেদের ভুলগুলোর দিকে মনোযোগ থাকে না। আর এই ভুল আপনি রিভিশনের সময় বের করতে পারবেন, একটি ভালো লেখা বের করে আনার জন্য। আপনার লেখাটি রিভিশন করতে গেলে বুঝতে পারবেন যে এটি কতটা অগোছালো ছিল যা আপনার সাজানোর প্রয়োজন এখন!!

আসলে কন্টেন্ট রাইটিং বিশাল এক জগত! এখানে শিখার ও জানার কোন শেষ নেই। লিখতে লিখতে এখানে আপনি প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু শিখবেন, নতুন কিছু জানবেন, কিভাবে আপনার লেখাটাকে আরো উন্নত করা যায় সেই বিষয় সম্পর্কে। বর্তমানে অনেকেই স্বাধীন পেশা হিসেবে কন্টেন্ট রাইটিংটাকে বেছে নিচ্ছেন। আর এই পেশায় আসতে হলে কিছু বেসিক বিষয় জানাটা খুব জরুরী। আপনাদের অনেক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটি হল, “কিভাবে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হব?” আর এই প্রশ্নের উত্তরটি নিয়েই সাজানো ছিল আমাদের আজকের পোস্টের আয়োজন। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনি পড়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। 

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন শিখবেন, আয় কেমন।

খুশি থাকার সহজ উপায় – 7 Tips to be Happy in Life

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *