ছাত্র অবস্থায় কেন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করবেন

ছাত্র জীবন পড়াশোনার সময়। ছাত্র জীবনের অনেকটা সময় আমরা পার করে দেই পড়াশোনা করতে করতেই। এত পড়াশোনার মাঝে নিজের পরবর্তী ক্যারিয়ারের কথা বা কোন স্কিল তৈরির কথা মাথায়ই আসেনা। কিন্তু ছাত্রজীবনে পড়াশোনা পাশাপাশি একটি স্কিলে নিজেকে ডেভলপ করা প্রতিটি ছাত্রেরই উচিত যেন পরবর্তী জীবনে কাজের ক্ষেত্রে তা তার বেশ কাজে লাগে। এমন একটি স্কিল হলো কনটেন্ট রাইটিং। 

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যে প্রতিটি ছাত্রেরই পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজটি করা উচিত!! 

এখানে ছাত্ররা শুধু যে ইনকাম করবে এমনটা নয় এর পাশাপাশি তারা যে বিস্তর জ্ঞান ও দক্ষতা নিজেদের ভিতরে ধারণ করবে তা অন্য কোন ক্ষেত্রে তেমনভাবে পারবেনা! তাই আমি মনে করি যে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র অবস্থায়ই আপনার কন্টেন রাইটিং শুরু করা উচিত। 

কন্টেন্ট রাইটিং তো শিখবেন কিন্তু আগে জানা জরুরী যে এই কন্টেন্ট কি? 

কনটেন্ট হলো ইনফরমেশন বা তথ্য। কনটেন্ট অনেক ধরনের হতে পারে যেমন: ব্লগ, নিউজ লেটার, ইমেইলস, ম্যাগাজিন, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট ইত্যাদি।

 

ছাত্র অবস্থায় কেন আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করবেন 

ছাত্র অবস্থায় চাইলেই আমরা যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। কারণ এতে করে পড়াশোনায় সমস্যা হবে। কিন্তু অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি এমন কিছু করতে চান যাতে করে তার খরচ নিজেরটা নিজেই চালিয়ে নিতে পারেন। অনেকে আবার এমন কিছু শিখতে চান যেই দক্ষতাটা তার ভবিষ্যতে অন্য কোন ক্যারিয়ারের মুভ করার ক্ষেত্রে বেশ কাজে লাগবে। এক্ষেত্রে ছাত্রদের জন্য সঠিক ও ভালো একটি পেশা হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। চলুন কেন আপনি ছাত্র অবস্থায়ই কনটেন্ট রাইটিং করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেই।

ক্যারিয়ার অপরচুনিটি

কন্টেন্ট রাইটিংয়ে আপনি দেখবেন কাজের ক্ষেত্রটা কত বিস্তৃত। এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে ই-বুক, সিভি রাইটিং, পণ্য বিপণ প্রক্রিয়া ও  পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানেন তাহলে কিন্তু আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে‌ তা ফুঁটিয়ে তুলতে পারবেন না। কারণ একজন লাইটারকে বিভিন্ন বিষয়ে লিখতে জানতে হয়। আর আপনি যখন বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপরে প্রতিনিয়ত লেখার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করছেন তখন আপনি পরবর্তী জীবনের যখনই প্রবেশ করেন না কেন তা আপনার জন্য প্রাথমিকভাবে যে অনেকটা সহজ হয়ে যাবে তা আমি বাজি ধরে বলতে পারি!! এর ফলে আপনার জন্য ক্যারিয়ার অপরচুনিটিও  কিন্তু অনেক থাকবে। 

বাড়তি আয়

স্কুল, কলেজ শেষে আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে প্রবেশ করি তখন কিন্তু আমরা যথেষ্ট বড় বয়সের দিক থেকে। এই মুহূর্তে বাবা-মায়ের কাছে ছোটবেলার মতো নিজের খরচের জন্য টাকা চাওয়াটা আসলেই লজ্জাজনক। তাই পড়াশোনা পাশাপাশি আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে আপনার হাত খরচ আপনি নিজেই বহন করতে পারবেন। 

সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে

কন্টেন্ট রাইটিং করতে গেলে আপনাকে কিন্তু খুব গভীরভাবে যে কোন বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। কিভাবে একটি কথাকে রিডারের কাছে উপস্থাপন করলে সে আপনার পণ্যটি কিনবে সে সম্পর্কে আপনাকে বিস্তর গবেষণা করতে হয়। ক্রমশ গভীরভাবে চিন্তা করার ফলে আপনার সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে। কারণ মস্তিষ্ককে আমরা যত বেশি চর্চার ভেতর রাখি এটি ততই উন্নত হয় সময়ের সাথে সাথে। 

শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করে

একজন ছাত্র সে সময়ই সবচেয়ে বেশি ভালো ছাত্র, যখন তার শব্দভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ থাকে। কারণ শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ থাকার ফলে একটি কঠিন ও দূর্বোধ্য বাক্যকেও একজন সৃজনশীল মানুষ তার শব্দের দ্বারা মানুষের কাছে পানির মতো সহজ করে তোলে। তার মানে কনটেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে আপনি ইনকামের চেয়েও বেশি কিন্তু শিখছেন। 

ছাত্র অবস্থায়ই আপনি কেন কন্টেন্ট রাইটিং শিখবেন তার অসংখ্য কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম যে কারণগুলো আপনাকে কন্টেন্ট রাইটিং শেখাতে আগ্রহী করে তুলবে ছাত্র অবস্থাতেই সেই বিষয়েই আমি আজকের পোস্টে কথা বলেছি। 

যেকোনো বিষয় যখন ধারাবাহিকভাবে আপনি পড়াশোনার বা জানার উপরে থাকবেন তখন এমনিতেই আপনার মেধা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে। আরে মেধার ও সৃজনশীলতার সমন্বয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ারে যে কোন কাজে এগিয়ে যেতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি। আর এই বিষয়টিকে আরো কয়েক ধাপ সহজ করে তোলে কনটেন্ট রাইটিং।

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *