সম্মান অর্জন করার ৬ টি উপায়। যে কেউ আপনাকে সম্মান করবে।

আপনি যখন কোথাও লিডারশীপ পজিশনে থাকবেন তখন একটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় যে, যারা আপনার সাথে কাজ করবে তারা সবাই আপনাকে সম্মান দিক।

কিন্তু আপনাকে এটা জানতে হবে, সম্মান করানো যায় না, সম্মান অর্জন করে নিতে হয়। কিছু মানুষের একটা ভূল ধারনা রয়েছে তারা মনে করেন যেহেতু তারা লিডারশীপ পজিশনে আছেন, তার মানে সবাই তাকে অটোমেটিক সম্মান করবে। তাতে তার ব্যবহার যেমনই হোক না কেন।

কিন্তু দেখুন এতে মানুষ আপনাকে সামনে দেখানোর জন্য ঠিকি সম্মান করবে, হতে পারে মনে মনে সে আপনাকে গালি দিচ্ছে অথবা খারাপ ভাবছে। নিজের বন্ধুদের মাঝে আপনাকে নিয়ে খারাপ কথা বলছে।

আর এটা শুধু লিডারশীপ এর বেলায় না। আপনি চাইবেন আপনাকে সবাই সবসময় সম্মান দিক। হতে পারে পরিবার, বন্ধুমহল,  অপরিচিত কোন ব্যাক্তি।

যে কেউ আপনার কাজ এবং ট্যালেন্ট এর রেসপেক্ট ঠিকি করবে। রেসপেক্ট এর লিমিট শুধু এই পজন্ত না। আপনি একজন man হিসেবে সম্মান অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি winner.

আজকে আমি আপনাদের জানাবো সম্মান অর্জন করার উপায়। আপনি যদি তা অনুসরণ করেন তাহলে আপনি যে কারো থেকে সম্মান অর্জন করতে পারবেন।

সম্মান অর্জন করার ৬ টি উপায়।

সম্মান অর্জন করার ৬ টি উপায়।

১) Be kind.

প্রথমত আপনি যার সাথেই মিশুন না কেন আপনাকে ভদ্র আচরন করা উচিৎ। হতে পারে সে আপনার বৌ অথবা স্বামী বা অপরিচিত কোন দোকানের কর্মচারী।

আমি জানি, এটা বলা সহজ আপনি যদি খারাপ সময় ফেস করে থাকেন তাহলে এটা করা আপনার জন্য কঠিন। তবুও চেষ্টা করুন।

আপনি যেমনই হন না কেন সম্মান অর্জন করতে হলে আপনাকে ভদ্রতা দেখানোতে মনোযোগ দিতে হবে। যেমন আপনি কফি সপের দরজা খুলে দিতে পারেন ঐ মানুষটির জন্য যে মানুষটি আপনা পিছনে দাড়িয়ে আছে, কিংবা সপে কাউকে প্রথমে যাওয়ার জন্য রাস্তা দিতে পারেন। smile করুন এবং  অবশ্যই please এবং Thank you ওয়াড এর ব্যবহার করুন।

ডেলিভারি বয় যদি বাসায় এসে খাবার ডেলিভারি দেয়, এটা তো তার জব, এটা না ভেবে তাকে ধন্যবাদ দিন। যখনি সম্ভব হয় Thank you এবং প্লিজ কোথাটি ব্যবহার করুন।

২) Act Respectfully.

ডিস রেসপেক্ট ফুললি ব্যবহার করবেন না। যেমন কার সাথে কথা বলার সময় এদিক ওদিক দেখা বা ফোনের সাথে লেগে থাকা। কিংবা সামনের লোকটির কথা মন দিয়ে না শুনে দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তির সাথে কথা বলতে শুরু করা। এটা কীা শুধু অসম্মান জনক নয় এটা সামনে থাকা ব্যাক্তির মনে আপনার ইমেজ চিরতরে খারাপ করে ফেলবে।

আপনি রেসপন্স এর সাথে সামনের মানুষের কথা শুনুন। প্রতিটা মানুষি ডিজার্ভ করে তার কথা দ্বিতীয় মানুষটি শুনুক।

ভাবুনতো আপনার কেমন লাগবে যদি আপনার সমস্যার কথা আপনি কাউকে বলছেন অথচ আপনার সামনের ব্যাক্তি মোটেই  ইন্টারেস্ট না।

৩) Listen well

যখন কেউ আপনার সাথে কথা বলবে, তখন আপনার মতামত ও চিন্তাগুলো একপাশে রাখা উচিত। এবং সামনের ব্যাক্তির কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। সে আপনাকে কী বোঝাতে চাচ্ছে।

আমি দেখেছি লোকেরা অন্যের কথা শুনতে চায় না। তারা অন্যের কথার মাঝে নিজের কথা বলতে থাকে, আর কিছু লোক সামনের ব্যাক্তির কথা মনোযোগ দিয়ে না শুনে, মনে মনে এটা ভাবে যে তার এখন কী বলা উচিত।

আর তখন সে নিজের কাহিনী বলা শুরু করে। নিজের কাহিনী শোনানোর পরিবর্তে, সামনের মানুষকে এমন প্রশ্ন করতে হবে, যাতে সে আরো বেশি কথা বলতে ইন্টারেস্ট হয়।

যখন আপনি কারো কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে থাকেন। তখন আপনি তাকে important feel করান।

যার কারনে সেও আপনার ক্ষেত্রে এমনটা অনুভব করবে। শোনার মাধ্যেমেও আপনি রেসপেক্ট অর্জন করতে পারেন।

৪) Don’t Make Excuse. 

আপনার কাজের দায়িত্ব গ্রহন করুন, কিছু পরিস্থিতি বাদ দিলে অজুহাত দেওয়ার কোন কারন থাকবে না। যদি আপনি দেরি করেন তাহলে হয়তো আপনি এর জন্য দেরি করছেন যে আপনি আপনার সময়কে ঠিকঠাক ভাবে ম্যানেজ করতে পারেন নি।

যদি আপনি আপনার কাজ ঠিকঠাক ভাবে করতে না পারেন। তাহলে হতে পারে আপনি কাজে অমনোযোগী ছিলেন। না হয়তো অন্য কোন জরুরি কাজে ব্যাস্ত ছিলেন।

নিজের ভুলকে একসেপ্ট করুন এবং নিজের ভুলের জন্য অনুশোচনা করার জায়গায় নিজের পজিটিভ চিন্তা করুন।

এবং আগের থেকে ভালো কাজ করার কমিটমেন্ট করুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান।

যেসব লোক নিজের ভুলকে অস্বীকার করে। আপনি কী তাদের সম্মান দিবেন কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।

৫) Let go of Anger.

নিজের রাগকে ধরে রাখলে বা কারোর উপর খোভ থাকলে ক্ষতি টা আপনি ছাড়া আর কারো হবেনা। রাগ ধরে রাখবেন না।

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কয়েক সেকেন্ড এর জন্য যদি রেগেও যান তাহলে সেটাকে রেখে এগিয়ে চলুন। যেই সিচুয়েশনের জন্য আপনি রেগে যাচ্ছেন, সেটাকে ঠিক করার জন্য কাজ করুন।

আর যদি সেটাকে ঠিক করা আপনার দ্বারা সম্ভব না হয় তাহলে সেটার পিছু ছাড়ুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান।

একটা সিচুয়েশনে আটকে থেকে কিংবা রাগ করে কোন লাভ হবে না। এই স্ট্রেস থাকলে উদ্বেগ সৃষ্টি হবে। যেটার কারনে আপনার স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে।

মনে রাখবেন কেউই পারফেক্ট হয় না। কিছু কাজে ভুল হবেই। তাই অন্যকে এবং নিজেকে এর থেকে বের হতে সাহায্যে করুন।

ক্ষমা করুন, ভুলে যান এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান।

৬) Be willing to change

জেদি হওয়া আপনাকে কোথাও নিয়ে যাবে না।কারন পরিবর্তন প্রকৃতির নিয়ম।

কিছু মানুষ তার পুরোনো বিশ্বাসের মধ্যে আটকে থাকে। করবো তো এই কাজ টাই করব আর এভাবেই করব। যদিও এসব কথার কাজে না আসে তবুও সে এটার মধ্যে আটকে থাকে। আর নিজের ক্ষতি করে।

আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে নিজের ব্যাক্তিত্ব কে এগিয়ে নিতে। নতুন স্কিল শিখুন, নুতুন একটিভিটিতে নিজেকে অংশগ্রহন করান।

বিশেষ করে আপনার অটোমেটিক ব্যবহার এর উপর মনোযোগ দিন। এবং শেটাকে শুধরান। মনোযোগ দিন যখন আপনি কারো সাথে কথা বলেন কীভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, কীভাবে বসে আছেন এবং আপনার শরীর এর অঙ্গভঙ্গী গুলো কেমন হয়।

যখন আপনি রেগে যান তখন আপনি কী করেন। তখন আপনি বোকার মতো কথা বলেন নাতো, এইসব কিছুর উপর মনোযোগী হন। এবং সেগুলোকে শোধরানোর চেষ্টা করুন।

যখন আপনি একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ হয়ে উঠবেন। তখন আপনি অটোমেটিক অন্য মানুষের থেকে সম্মান পাবেন। এবং অর্জন খুবই আনন্দের এই অনুভুতি জন্য নিজেকে কৃতজ্ঞতা জানান।

যখন নিজেকে বদলানোর কথা আসে তখন একটি ভালো বন্ধু বা বই অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

conclusion

সম্মান অর্জন করার ৬ টি উপায়। 

  1. Be kind – মানুষের সাথে ভদ্র আচরন করুন।
  2. Act Respectfully – মানুষের সাথে কথা বলার সময় তার কথা মনোযোগ এর সাথে শুনুন।
  3. Listen Well – নিজের কাহিনী শোনানো আাদ দিয়ে, সামনের মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
  4. Don’t make excuse – অজুহাত না দেখিয়ে নিজের কাজের দায়িত্ব নিন।
  5. Let go of Anger – রাগ হলে রাগ চাপিয়ে রাখবেন না। রাগ করুন শুধুমাত্র কয়েক সেকেন্ড এর জন্য। মনোযোগী হন সেই পরিস্থিতিকে সমাধান করার জন্যে।
  6. Be willing to change – পরিবর্তন এর জন্য তৈরি থাকুন।নতুন কিছুর জন্য নিজের মনকে সবসময় open রাখুন। সর্বদা নতুন কিছু শিখতে থাকুন, নতুন নতুন জায়গা ও নতুন মানুষদের সাথে মিশুন,  ভালো বই পড়ুন।

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *