ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সুবিধা এবং অসুবিধা । Advantages of using a credit card.

বিশ্বব্যাপী লেনদেনের মাধ্যমে হিসেবে ক্রেডিট কার্ড একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী 2.8 বিলিয়নেরও বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হচ্ছে। এবং প্রতিনিয়ত ক্রেডিট ইউজারের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ক্রেডিট কার্ডের বিষয়ে অনেক ইউজার এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পজিটিভ নেগেটিভ ধারণা রয়েছে।

মূলত ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে ইউজারদের জ্ঞানের স্বল্পতার দরুন ইউজাররা এ ধরনের চিন্তাভাবনা পোষণ করে থাকেন। যার ফলে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে এলিজাইবেল হলেও অনেক ইউজারই ক্রেডিট কার্ড নিতে চান না।

অন্যদিকে অনেকেই নিয়মিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এর সুবিধা গুলো উপভোগ করছেন।

আমাদের আজকের এপিসোডে ইউজারদের মতে,

একটা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা থাকতে পারে সে বিষয়ে আপনাদের জানাবো।

  • ক্রেডিট কার্ড ইউজারদের বেশ কিছু সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানা থাকলে একজন ইউজারের পক্ষে ক্রেডিট কার্ড এবিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
  • ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইডরা মূলত এই কার্ডের মাধ্যমে কাস্টমারকে ফ্রি লোন অফার করে থাকে। প্রতিটি কাস্টমার এর ইনকাল লেভেল এর উপর নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদিও এই লোনের টাকা ইন্টারেস্ট ফ্রী পিরিওড এর মধ্যেই পরিশোধ করতে হয়। তবে এই গ্রেস পেরিয়ড এর মধ্যে লোনের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে। এর সাথে ইন্টারেস্ট চার্জ যোগ হতে থাকে।
  • বিশ্বের সকল ক্রেডিট ইউজারদেরকে মিনিমাম 15 থেকে সর্বোচ্চ 45 দিন পর্যন্ত গ্রেস পেরিয়ড দিয়ে থাকে। অনেকেই এই সুবিধাটি কে কাজে লাগিয়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে স্বল্প মেয়াদী বিভিন্ন বন্ড স্টক মার্কেটে ইনভেস্ট করে। এবং গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই কার্ডের বিল পরিশোধ করে দেয়।
  • যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রফিট এর পরিমান খুবই সামান্য। তবে ফ্রি মানি ব্যবহার করে এভাবে প্রফিট করাটা বেশ বুদ্ধিমানের কাজ।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইউজার তার বড় কোন এক্সপ্রেন্স কে ছোট ছোট কয়েকটি ভাগে ডিবাইট করতে পারেন। সব ক্রেডিট কার্ড ইএমআই ( EMI) ইকোয়াল ইনস্টলমেন্টস ফ্যাসিলিটি দিয়ে থাকে।

  • এই সুবিধা ব্যবহার করে একজন ইউজার তার বড় খরচ গুলোকে একবারে এফোড করতে না পারলে, মাসিক কিস্তিতে ভাগ করে নিতে পারেন।
  • যেমনঃ কেউ যদি ফ্রিজ টিভি বা দামি কোন হোম এপ্লায়েন্স কিনতে চান। তবে মাসিক ইনস্টলমেন্ট এর ভিত্তিতে নিজের সেভিংস এর টাকা খরচ না করেই তা কিনতে পারেন।
  • ব্যাংক বাজারের একটি তথ্যসূত্রে কোন কিছু কেনার জন্য পার্সোনাল লোন এর চাইতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করা বেশি লাভজনক।
  • বেশিরভাগ Brand ই তাদের sale বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাংকের সাথে চুক্তি করে। 0% interest EMI ফেসিলিটি প্রোভাইড করে থাকে।
  • যেমনঃ বাংলাদেশের স্যামসাং অফিশিয়াল স্মার্টফোনে কাস্টমারদের জন্য জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট এ 3 মাস থেকে 18 মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা দিয়ে থাকে।
  • ফলে কাস্টমাররা বাড়তি ইন্টারেস্ট এর ঝুঁকি ছাড়াই। একটি Expanse কে কয়েকটি কিস্তিতে ভাগ করে নিতে পারেন।

এছাড়াও ইউজাররা যে কোন ক্রেডিট কার্ড পারচেজ এ ব্যাংক বা কার্ড ইসুয়ারের কিছু শর্ত পূরণ করে খুব সহজেই ইএমআই(EMI) সুবিধা এবিল করতে পারেন।

তবে এক্ষেত্রে কাস্টমারের টোটাল পেমেন্ট এর উপর ব্যাংক ইন্টারেস্ট চার্জ করে থাকে। যেমন বাংলাদেশে এমএক্স ক্রেডিট কার্ড ইউজাররা 3000 টাকার উপর যে কোনো কিছু কিনার ক্ষেত্রে প্রার্থী কাস্টমার কেয়ারে কল করে ইএমআই তে কনভার্ট করে নিতে পারেন।

ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের তুলনায় বেশি সেভ হিসেবে consider করা হয়।

ডেবিট কার্ডে যেকোনো কিনার ক্ষেত্রে সরাসরি ইউজারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে pay করা হয়। যার ফলে ডেবিট কার্ডের ফ্রডের মাধ্যমে যে কোনো ট্রানজেকশন ডিরেক্টলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

  • অর্থাৎ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ট্রানজেকশন এর সকল দায় বদ্ধতা ইউজারের উপরে থাকে। যদিও তদন্ত শেষে ব্যাংক হয়তো সেই টাকা রিফান্ড করে দেবে তবে এটি বেশ সময় সাপেক্ষ একটি কাজ।
  • কিন্তু ক্রেডিট কার্ড এর ক্ষেত্রে কোন আনঅথরাইজ ট্রানজাকশন এর জন্য ইউজার দায়বদ্ধ থাকে না।
  • বরং এ ধরনের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ভিসা মাস্টার কার্ড American express এর মতো ক্রেডিট কার্ড নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারদের।

us Federal law অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড ইউজারদের কোন প্রকার আনঅথরাইজ ট্রানজাকশন এর জন্য দায় বদ্ধতা থাকে না। যার ফলে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইউজারদের সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এ ছাড়াও ফডুলেন্ট অ্যাক্টিভিটি থেকে ইউজারদের সেইফ রাখার জন্য ক্রেডিট কার্ড ইস্যু এবং ব্যাংকগুলোও চার্জ ব্যাংক ট্রানজেকশন এলার্ট ও কনফার্মেশন সহ, বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি ফিসার ইউজারদের দিয়ে থাকে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের লুকরে টি বিষয় হচ্ছে রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও বিভিন্ন বেনেফিট।

বেশকিছু সেলেক্টিভ দোকান হোটেল রেস্টুরেন্ট এ ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করলে ইউজারদের রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেয়া হয়। এগুলো ব্যবহার করে ইউজার বিভিন্ন গিফট কার্ড ট্রাভেল প্যাকেজ অথবা মার্চেন্ডাইজ প্রডাক্ট এবিল করতে পারেন। কিছু কার্ড এয়ার মাইল দিয়ে প্রবাহিত করা যায়। এয়ার টিকেট কিনতে ব্যবহার করা যায়। এবং জমানো পয়েন্টের ভিত্তিতে ইউজার সম্পূর্ণ খরচ কাভার করতে পারেন।

এছাড়া ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করা বিভিন্ন মার্চেন্ট এবং সপ মালিকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ইউজারদের ক্যাশব্যাক ডিসকাউন্ট। বাই ওয়ান গেট ওয়ান সহ আরও বিভিন্ন ধরনের বেনিফিট দিয়ে থাকে।

  • এছাড়া ফরেন ট্রাভেলার ক্ষেত্রে অনেক ক্রেডিট কার্ড প্রোভাইডাররা প্রায়োরিটি পাসের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট এ মিট এন্ড রিক এবং লাঞ্চ সুবিধা দিয়ে থাকে।
  • বাংলাদেশে Mutual Trust Bank এবং সিটি ব্যাংক সহ বেশকিছু ব্যাংক তাদের কার্ড হোল্ডার দের জন্য এ ধরনের ফ্যাসিলিটি দিয়ে থাকে।
  • বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ড এ জীবন বীমা এমনকি পন্য বীমা, যাতায়াত বিমা সুবিধা প্রদান করে থাকে। যদিও ভিন্ন ভিন্ন কার্ডে বিমার ধরন ও ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়।
  • অনেক ইউজাররা হয়তো জানেনই না যে কিছু কিছু ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের insurance ফেসিলিটি অটোমেটিক্যালি কার্ড এ এড করে রাখে। উদাহরণস্বরূপ সিটি ব্যাংক তাদের এমএক্স গল্ড ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার দের ডাবল বেনিফিট Insurance offer করে।
  • এই কভারেজের অধীনে যদি কার্ড হোল্ডার মারা যান বা পূর্ণ বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। তাহলে ব্যাংক কার্ড হোল্ডার এর আউটস্ট্যান্ডিং লোনের পুরোটাই মওকুফ করে দেয়। এবং সমপরিমাণ টাকা তার নমিনীকে প্রদান করা হয়।

সিটি ব্যাংকের কোন কার্ড হোল্ডার যদি ডাবল বেনিফিট ইন্সুরেন্স সুবিধা এবিল করেন। সেক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ইউজারের মাসিক স্টেটমেন্ট এর উপর মাসিক 0.4% ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম হিসেবে চার্জ করে।

  • insurance সুবিধার আওতায় ব্যাংকগুলো কার্ড হোল্ডারদের হসপিটালের বিল সহ বিভিন্ন ধরনের মেডিক্যাল ফেসিলিটি এবিল করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
  • যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে ক্রডিট কার্ড এর এক্সেপ্ট রেন্স বেশি। যারা বিদেশে যাতায়াত করেন তাদের জন্য ক্রেডিট কার্ড ক্যারি করা বেশি সুবিধাজনক। কেননা visa, Mastercard ও American Express এর মতো কার্ড ইসুয়ারের মত কার্ডের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের কারণে কার্ডগুলো যেকোনো ইন্টারন্যাশনাল কোস্ট টারমিনাল এবং এটিএম এক্সেপ্টেবল।

city bank

বাংলাদেশ কার্ড হোল্ডার রা পাসপোর্ট থাকার উপর নির্ভর করে ডুয়েল কারেন্সি বা ডাইনামিক কারেন্সি সুবিধা নেয়ার জন্যও কার্ড প্রোভাইডারদের কাছে আবেদন করতে পারেন।

ভালো একটি ক্রেডিট স্কোর তৈরিতে ক্রেডিট কার্ড বেশ ভালো একটি উপায় হতে পারে। ইউজার যদি সঠিক সময়ের মধ্যে ক্রেডিট বিল পরিশোধ করতে পারেন। তবে তা ইউজারের ক্রেডিট history তে যুক্ত হয়। এবং আলটিমেটলি ভালো ক্রেডিট ইমেজ তৈরি করে।

যদি ভবিষ্যতে বড় ধরনের কোন লোন নিতে চান তবে এই ক্রেডিট ইমেজের সুবাদে সেই ইউজার সহজেই লোন পেতে পারেন। ক্রেডিট কার্ড যেহেতু buy now, pay later ফেসিলিটি প্রোভাইড করে।

তাই অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় user অনেকক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে ফেলেন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যখন একজন ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তখন তিনি নগদ অর্থের তুলনায় 113 শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করে থাকেন।

যেখানে বাড়ি গাড়ি অথবা পার্সোনাল লোন এর তুলনায় ক্রেডিট কার্ডের ইন্টারেস্ট রেট অনেকটা বেশি থাকে। যদি কোন ইউজার সঠিক সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। তবে তাকে অনেক বেশি পরিমাণে ইন্টারেস্ট ফি চার্জ করা হয়।

ইউজার লেট ফি এভোয়েড করা ও ক্রেডিট রেকর্ড ক্লিন রাখতে সাহায্য করার জন্য ব্যাংক গুলো কার্ড হোল্ডার কে মিনিমাম ডিউ ও মোট বিলের 1 থেকে 3 শতাংশ পে করার সুযোগ দেয়।

তবে এটিও ব্যাংকের একটি ট্রিক। কেননা বাকি টাকার উপর ব্যাংক ইন্টারেস্ট চার্জ করে। যা পরবর্তী বিলিং পিরিয়ডের সাথে যুক্ত করা হয়।

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করা পসিবল হলেও, ব্যাংক গুলো ডিরেক্ট টাকা উত্তোলন এর ক্ষেত্রে মোটা অংকের ইন্টারেস্ট চার্জ করে থাকে।

2020 সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সকল ধরনের ক্রেডিট কার্ডের জন্য সর্বোচ্চ 20 শতাংশ ইন্টারেস্ট, এবং অন্যান্য কনজুমার লোন এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 9% ইন্টারেস্ট রেট ফিক্স করে দেয়।

ক্রেডিট কার্ডে অনেক ধরনের হিডেন ফি ছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের টার্মস এন্ড কন্ডিশন সম্পর্কে আগে থেকেই না জানার কারণে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হন।

ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার পূর্বে ব্যাংক সাধারণত এসব হিডেন পীর সম্পর্কে কাস্টমারকে জানাতে চায় না। এসবের মধ্যে রয়েছে

  • প্রসেসিং ফি
  • ইন্সুরেন্স ফি,
  • মেনটেনেন্স চার্জ,
  • cash advance fee,
  • limit exceeding charge,
  • gst charge,
  • foreign transaction charge,
  • dishonor fee,
  • cash withdrawal fee,
  • markup fee,
  • Late payment fee,
  • Balance Transfer fee,
  • paper statement fee
  • এবং এসএমএস এর মতো আরো অনেক কিছুই।

এছাড়া আউটস্ট্যান্ডিং বিলের উপর ভ্যাট এপ্লাই করা হয় যা অনেক কাস্টমার জানেন না।

  • সঠিক সময়ের মধ্যে ক্রেডিট বিল পরিশোধ করতে পারলে যেমন ভালো ক্রেডিট স্কোর পাওয়া যায়। তেমনি এতে ব্যর্থ হলে কার্ড হোল্ডার এর ক্রেডিট স্কোর কমে যায়। এবং এই রেকর্ড তার ক্রেডিট হিস্ট্রিতে ও থেকে যায়।
  • Lower ক্রেডিট স্কোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট এ ইফেক্ট ফেলে এবং ইউজার যদি ভবিষ্যতে বিজনেস বা অন্য কোন লোন নিতে চান তবে এই ব্যক্তিগত হিস্ট্রির কারণে তাকে ডিফল্টার হিসেবে কনসিডার করা হবে। যা লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
  • ক্রেডিট কার্ড গুলোর অসুবিধা সম্পর্কে জানার পর ক্রেডিট কার্ড নিবেন কিনা। এমন প্রশ্ন করলে তার উত্তর হবে যে সেটি সম্পূর্ণই তার নিজের উপর নির্ভর করে।

তবে এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ হতে পারে।

যদি কোন ব্যক্তি ঠিক সময়ের মধ্যে পেমেন্ট করার অভ্যস্ত থাকেন। তবে ক্রেডিট কার্ড তার জন্য বেশ ভালো কাজে দিতে পারে। তবে ইউএসএ এবং ভারত উপমহাদেশে ইউজারদের মধ্যে সঠিক সময়ে পেমেন্ট ক্লিয়ার না করার প্রবণতা বেশি। ফলে তাদের ইন্টারেস্ট পেনাল্টির হার বেশি।

  • বর্তমানে USA তে consumer এর এভারেজ ক্রেডিট কার্ড এর পরিমাণ মাথাপিছু 6 হাজার ডলারেরও বেশি। যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় 1 ট্রিলিয়ন ডলার।
  • USA ছাড়াও ইউরোপের অন্যান্য দেশে এবং এশিয়ার মধ্যে চীন ও জাপানের ইউজারদের মধ্যে ইম্পালসিভ পারচেজিং এবং ডিফল্টার হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম।
  • বিজনেস ইনসাইডারের একটি তথ্যসূত্রে যে সকল পণ্যের দাম। একজন ব্যক্তি পরিশোধ করতে পারবেন না। তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে তা পারচেজ করা উচিত না।
  • আর user যদি কোন প্রোডাক্ট এফোড করতে পারেন। শুধুমাত্র তখনই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে তার সেই প্রোডাক্টটি কেনা উচিত।
  • ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে হুট করে কিছু কিনে ফেলা বা সাধ্যের বাইরে কিছু কেনার লোভ সামলাতে পারলে। এটি অবশ্যই একটি ভাল অপশন হতে পারে। ক্রেডিট কার্ড আদতে কোন ইউজারকে অ্যাডিশনাল ভ্যালু প্রভাইট করে কিনা তা এনালাইজ করা প্রয়োজন।
  • এছাড়া কিছু মানুষ রিয়ার্ড এবং ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস এর জন্য ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। যেমন ইয়ারপোর্ট লঞ্চ ফেসিলিটি, লাক্সারিয়াস হোটেলের ডিসকাউন্ট ইত্যাদি।

    কিন্তু user যদি আকাশপথে বেশি যাতায়াত করেন কিংবা রেগুলার লাক্সারিয়াস হোটেলে visit না করেন তবে তার জন্য, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার ততটা লাভজনক নাও হতে পারে।

    তবে কেউ যদি অনেক বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেন। তবে তার জন্য ডুয়েল কারেন্সি সুবিধাসহ ক্রেডিট কার্ড বেশ উপকারী হবে। ক্রেডিট কার্ডের এক্সেপ্টেড বেশি হওয়ার কারণে ট্রানজেকশন এর জন্য ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা একদিকে যেমন অনেক বেশি সুবিধাজনক। তেমনি অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।

আরও পড়ুন>>

টাকা দিয়ে টাকা বানানোর উপায়, কীভাবে ইনভেস্ট করে ধনী হবেন।

ভারতীয়রা যেভাবে শীর্ষ technology কোম্পানির CEO পদ দখল করে রেখেছে।

Tw3press

The Latest insights of Knowledge Connection and opportunities.

Leave a Reply