ভারতীয়রা যেভাবে শীর্ষ technology কোম্পানির CEO পদ দখল করে রেখেছে।

ভারতীয়রা আমেরিকার সমগ্র জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ অথচ বিশ্ব প্রযুক্তির রাজধানী সিলিকন ভ্যালির তিনভাগের একভাগ ইঞ্জিনিয়ারি ভারতীয়

  • Google
  • Adobe
  • Microsoft
  • IBM
  • Twitter

মতো প্রযুক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা ভারতীয় শুধু তাই নয় বিশ্বের শীর্ষ 10 শতাংশ হাইটেক কোম্পানির সিইও। ভারতীয় প্রশ্ন হলো এত এত বড় কোম্পানির প্রধানের পদ কেন ভারতীয়রা দখল করে রেখেছে।

প্রতিবছর ব্যবসার ক্ষেত্রে চরম সফল 500 কোম্পানির একটি তালিকা তৈরি করে ফরচুন ম্যাগাজিন এইসব কোম্পানিকে বলা হয় ফরচুন 500 কম্পানি 450 কোম্পানি 30% কোম্পানির সিইও হলো ভারতীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রভাবশালী কয়েকজন সিইও সম্পর্কে জানা যাক

  • গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই
  • মাইক্রোসফট এর সিইও সত্য নাদেলা
  • টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়াল
  • অ্যাডোবির সান্তনু নারায়ন
  • আইবিএম এর সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণা
  • নোকিয়ার সিইও রাজিবপুরী
  • মাস্টারকার্ডের সিইও ও জয়পাল সিং
  • পেপসির সি ই ও ইন্দিরা নুই
  • মাইক্রোন টেকনোলজির সিইও সঞ্জয় মালহোত্রা
  • নেটওয়ার্ক এর সিইও নিকাশ অরোরা
  • chanel এর ceo লীনা নায়ার।

এরকম আরো অনেকে ভারতীয়রা তাদের নিজেদের দেশ থেকে সমস্যা সমাধানের এক অভিনব ক্ষমতা নিয়ে আসে। জনসংখ্যা প্রায় 140 কোটি চীনের পরে ভারত পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ। আগামী কয়েক বছরে জনসংখ্যার দিক থেকে ভারত চীন কেউ পেছনে ফেলে দিবে।

ভারতীয়রা যেভাবে শীর্ষ technology কোম্পানির CEO পদ দখল করে রেখেছে।

ভারতের দারিদ্রতার একটি বড় সমস্যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে এই দরিদ্র লোকদের দৈনিক উপার্জন মাত্র দেড়শ টাকার মতো এছাড়াও দেশজুড়ে দুর্নীতি অবকাঠামোগত সমস্যা এবং শিক্ষা চিকিৎসা সহ সকল ক্ষেত্রে সুযোগের অভাব রয়েছে।

এই এত এত অসুবিধার মধ্যে বেড়ে ওঠার কারণে ভারতীয়দের মধ্যে এক বিশেষ ধরনের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা জন্মায় এছাড়া সীমাহীন প্রতিবন্ধকতা পার করতে গিয়ে ভারতীয়রা পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী হয়ে ওঠে এ সমস্ত কারণেই ভারতীয়রা বিশ্বের অন্যান্য দেশে কাজ করতে গেলে সহজেই বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে।

এই গুণ বড় বড় কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য অতি জরুরী। 2014 সালে মাইক্রোসফট এর সিইও সত্য নাদেলা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন কোম্পানির অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। বিল গেটস এর মত ব্যক্তিরও মাইক্রোসফটকে সামলাতে পারছিল না মাইক্রোসফটের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই তাদের খারাপ সময় যাচ্ছিল স্মার্টফোন ব্যবসায় মাইক্রোসফটের Apple এর কাছে সম্পূর্ণ মার খেয়ে যায়।

এমন সময় ইঞ্জিনিয়ার সত্য নাদেলা পদোন্নতি পেয়ে মাইক্রোসফট এর সিইও হন তিনি আসার পর microsoft-এর কাজের পরিবেশ বদলে ফেলেন।

সত্য নাদেলা মাইক্রোসফটকে সময়োপযোগী কোম্পানি হিসেবে গড়ে তোলেন 2015 সালে সুন্দর পিচাই যখন গুগোল এর দায়িত্ব নেয় তখন তাকে অনেক অনেক সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে।

সে সময় বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে কোম্পানিগুলো ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এমন সময় গুগলের দায়িত্ব নেওয়ায় ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার শান্ত স্বভাব নম্র আচরণ এবং উদাহরণ।

প্রযুক্তিবিশ্বে একজন আদর্শ সিইও হিসেবে জায়গা করে নেয় ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেখা শেষ করে সুন্দর পিচাই আমেরিকায় গিয়েছিল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স করার জন্য। সেখান থেকেই চাকরি জীবনে প্রবেশ করে পদোন্নতি পেতে পেতে সুন্দর আজ এই পর্যায়ে এসেছেন।

ভারতীয়দের অধিকাংশ এর মধ্যেই একটি বিষয় মিল আছে আর তা হলো এদের বেশির ভাগেরই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী আছে।

সুন্দর পিচাই পরাগ আগারওয়াল সন্তানের মতো অনেকেই ভারতের আইআইটি থেকে পড়ালেখা করেছে। আমাদের দেশে যেমন বুয়েট কুয়েট চুয়েট মতো ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।

ভারতের ও তেমন আছে আইআইটি বা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বর্তমানে সমগ্র ভারত জুড়ে আইআইটির 23 টি শাখা রয়েছে আইআইটি বম্বায় আইআইটি দিল্লি আইআইটি মাদ্রাজ আইআইটি কানপুর এবং আইআইটি খড়গপুর এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে. 1951 সালে সর্ব প্রথম আইআইটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে।2000  একরেরর এই ক্যাম্পাস এখনো ভারতের সকল আইআইটির চেয়ে বড়।

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই

আইআইটি খড়গপুর থেকেই পড়ালেখা করেছে। এসব আইটি তে ভর্তি হওয়া খুবই কঠিন। আইআইটি তে ভর্তি হওয়ার জন্য ভারতীয় ছাত্রদের কঠোর অবস্থানের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আইটি তে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। একেতো ভারতের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ দেশ।

তার উপর আংটির মত উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা ভারতীয়দেরকে সিইও হওয়ার দৌড়ে অনেক এগিয়ে রেখেছে। ভারতের পড়ালেখা শেষ করে আমেরিকার শীর্ষ বিদ্যাপীঠ গুলোতে পড়ার সুযোগ ভারতীয়দের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন করে।

ভারত থেকে শেখা কঠোর অধ্যাবসায় তারা আমেরিকায় এসে কাজে লাগানোর ফলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত রা। সবার চেয়ে খুব সহজেই এগিয়ে যেতে পারে। আমেরিকায় পড়তে আসা অর্ধেকের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করে তাকে সংক্ষেপে বলে স্টিম যার অর্থ সায়েন্স টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যাথমেটিক্স। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিশেষ কাজের দক্ষতা অর্জন করেন আর আমেরিকার অভিবাসন ব্যবস্থায় যোগ্য লোকদের কে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

আমেরিকার h1b ভিসা অধীনে আইটি খাতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা আমেরিকায় থাকার সুযোগ পায় 2020 সালে h1b ভিসা 75% দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয়দেরকে এক্ষেত্রে চীনাদের অবস্থান মাত্র 12 শতাংশ।

চিনা ছাত্র-ছাত্রীদের 80% বিদেশে উচ্চশিক্ষা শেষ করে নিজ দেশে ফিরে যায় কারণ চীনা উদ্যোক্তারা তাদের নিজেদের দেশ থেকে নতুন কোম্পানির শুরু করতে বেশি আগ্রহী।

জাতিসংঘের তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী জনসংখ্যা রয়েছে ভারতের দেশটির প্রায় এক কোটি।

লক্ষ্য মানুষ ভারতের বাইরে বাস করে 2020 সালে আমেরিকার নাগরিক হবার জন্য ভারতীয় রায়’ সবচেয়ে বেশি তাদের ভারতীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেছে। ভারতীয়দের ভালো করার আরেকটি কারণ হলো অধিকাংশ ভারতীয় তাদের নিজ দেশ থেকে খুব ভালো ইংরেজি বলার দক্ষতা নিয়ে আসে।

যা চীনসহ অন্যান্য দেশের অধিবাসীদের চেয়ে ভারতীয়দের এগিয়ে রাখে। এছাড়া আমেরিকার ব্যবসায়ীক সংস্কৃতির সাথে ভারতীয়রা খুব সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। ভারতের ব্যাঙ্গালোর চেন্নাই এবং হায়দ্রাবাদের গড়ে ওঠা আইটি ইন্ডাস্ট্রি তে কর্মরতরা সবসময় দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে।

সে জন্য অনেকে নিজের দেশ থেকে প্রযুক্তি ব্যবসার জটিল সমস্যাগুলো আগে থেকেই আয়ত্ত করতে পারে। শুধু বাইরের দেশে বড় বড় কোম্পানি তাই নয় ভারতীয়রা নিজেদের দেশের বড় বড় প্রযুক্তিনির্ভর কোম্পানি গড়ে তুলেছে। যেসব কোম্পানির বাজার মূল্য 1 বিলিয়ন ডলারের বেশি। তাদেরকে বলা হয় ইউনিকন ভারতের বেশ কয়েকটি স্টাট আপ কোম্পানি ইউনিকর্ন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। 2020 সালে ভারতে ইউনিকর্ন কম্পানি ছিল 17 শতাংশ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে 2021 সালে ভারতে ইউনিকন কম্পানি দাঁড়ায় 47%।

মহামারী ছাড়াও যে কোন সাধারণ সময়ের বিচারে এটি অনেক বড় উত্থান আমেরিকান প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান কর্মরত ব্যক্তিদের ঘর মাসিক বেতন প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা এবং বছরে প্রায় 84 লক্ষ টাকা।

অন্যদিকে ভারতের প্রযুক্তি কর্মীদের মাসিক বেতন প্রায় দেড় থেকে আড়াই লক্ষ টাকা। বাৎসরিক প্রায় 17 থেকে 28 লক্ষ টাকা। ভারতের মধ্যে প্রযুক্তি খাতে কর্মরত রাই সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে। কিন্তু তারপরও আমেরিকার তুলনায় এই উপার্জন খুবই নগণ্য।

 

সেজন্য বহু ভারতীয় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আমেরিকা কে বেছে নেয়। এবং যোগ্যতা দিয়ে তারা তাদের কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে যায়।

E sim কী ? e-sim in Bangladesh

Tw3press

My name is Masudur Chowdhury I'm an Management and Engineering Consultant with more than 7 years of experience.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *