Brain Power: ৪ টি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার মেমোরিকে Photographic memory বানিয়ে নিন।

৪ টি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার মেমোরিকে Photographic memory বানিয়ে নিন ।

আমি কিছুদিন আগেই সেরে বাংলা একে ফজলুল হকের জীবনী পড়ছিলাম। পড়তে পড়তে একটা লাইন আমার সামনে আসলেও যেখানে লিখা ছিলো। শেরে বাংলা একে ফজলুল হক নাকি ছোটবেলায় একটা বই একবারের বেশি পড়তেন না। তিনি কোন বইয়ের পৃষ্ঠা একবার পড়ার পর নাকি তার ছিড়ে ফেলে দিতেন।

তার ব্রেনের মেমোরি এতটাই সারপ ছিল।

যে তিনি কোন বিষয় একবার পড়ার পর তার দ্বিতীয় বার পড়তে হতো না। বিষয়টা পড়ার পর আমি অবাক হয়ে যায় সেটা কি আদৌ সম্ভব। এ ধরনের মেমোরি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য, আমি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন আর্টিকেল, অফলাইন বই পড়া শুরু করি।

সবকিছু করার পর আমি যা জানতে পারলাম তাতে আরও অবাক হয়ে যাই। শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ছোটবেলায় যে মেমোরি টা ছিল সেটাকে মূলত বলা হয় এডিটিং ফটোগ্রাফিক মেমোরি।

এডিটিং বা ফটোগ্রাফিক মেমোরি হচ্ছে এমন এক ধরনের মেমোরি।

যে মেমোরিতে কেউ যদি কোন কিছু একবার পড়ে তার দ্বিতীয় বার পড়ার প্রয়োজন পড়ে না। কার্বন কঁপির মতো সারা জীবনের জন্য তা তার স্মৃতি তে সেইভ হয়ে যায়।

কিন্তু মজার কথা হচ্ছে পৃথিবীর ১% মানুষের ব্রেনের মেমোরি এই ধরনের হয়ে থাকে।

  • যেমন বাংলাদেশের শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
  • ভারতের স্বামী বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর।
  • আমেরিকার নিকোলা টেসলা, স্যার আইজ্যাক নিউটন, আলবার্ট আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং, স্টিভ জব, অ্যারিস্টোটল।

এদের মেমোরি টা ছিল Photographic memory যার মাধ্যেমে তারা সারা বিশ্বকে জয় করতে পেরেছে। এখন কথা হচ্ছে Photographic memory তৈরি করার পেছনের রহস্যটা কি। আমরা সাধারন মানুষ কি এই ধরনের মেমোরি তৈরি করতে পারব। যদি পারি তবে সেটা কিভাবে, তাহলে চলুন বিষয়টা জানি:

ফটোগ্রাফিক মেমোরি তৈরি হয় মূলত দুই ভাবে

  • একটি জন্মগত বা গড গিফটেড।

  • 2: Make you own মানে হচ্ছে নিজে তৈরি করা।

বিষয়টা হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তার থেকে প্রাপ্ত মানে হচ্ছে কিছু কিছু বাচ্চা জন্মগতভাবে অন্যদের থেকে একটু বেশি ট্যালেন্টেড থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছে যে সাধারণভাবে কিছু বাচ্চাদের ডিএনএর গঠনগত দিক থেকেই তাদের ব্রেইন একটু আলাদা ভাবে তৈরি হয়। তাই কিছু বাচ্চা জন্মগতভাবে অসাধারণ হয়ে থাকে, আবার অনেক বিজ্ঞানীরা এ বিষয়টিকে বিশ্বাস করে না। তবে এটা সত্য যে God Gifted রয়েছে, কিছু কিছু বাচ্চা জন্মগতভাবে অনেক ট্যালেন্টেড হয়।

তবে আমাদের আলোচনার বিষয় হচ্ছে দ্বিতীয় নাম্বার Make you own. যেহেতু গড গিফটেড বিষয়টা আমাদের হাতে নেই, তাই আমরা দ্বিতীয় নাম্বার টি ব্যবহার করে এডিটিং ফটোগ্রাফিক মেমোরি অধিকারী হতে পারি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের চারটি বিষয় বা নিয়ম মেনে চলতে হবে।

১) Improve your brain neurons connection.

  • আমাদের ব্রেনের মেমোরি কে ফটোগ্রাফিক মেমোরি করার প্রথম ধাপ হচ্ছে স্ট্রং নিউরনস কানেকশন।
  • আপনার ব্রেইনের নিউরনস কানেকশন যত বাড়বে, তত বেশি পাওয়ারফুল মেমোরি আপনার ব্রেইন এ তৈরী হবে।
  • মেডিকেল সাইন্স বলছে যখন কোন বাচ্চা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে তখন তার ব্রেইনে 100 বিলিয়ন নিউরন একটিভ থাকে।
  • তখন বাচ্চাদের লার্নিং ক্যাপাসিটি এত বেশি থাকে যে যদি কোন বাচ্চাকে, মাল্টি লার্নিং এনভারমেন্ট রাখা হয় তাহলে science এর মত বইগুলো সে খুব সহজে মুখস্ত করে ফেলতে পারবে।
তবে সমস্যার বিষয় হচ্ছে, 13 বছরের পর বাচ্চাদের ব্রেইনে নিউরন উৎপাদন এর দরজা বন্ধ হয়ে যায়। নানা ধরনের সামাজিক কার্যকলাপ এবং হরমোন পরিবর্তনের জন্য, এটা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

ব্র্যান্ড কটায়  যিনি তার বই নিউরোলজিস্ট ডায়েট এন্ড লাইফ-স্টাইল বলেছেন।

  • আমরা তিনটি কাজের মাধ্যমে আমাদের neurons গুলোকে পুরোপুরি আবার একটিভ করতে পারি।

যেমন প্রথম হচ্ছে walking and Exercise.

  • সায়েন্টিস্টরা বলছে আমাদের walking and Exercise করার সময় আমাদের ব্রেইনের সবচেয়ে বেশি নিউরনস প্রডিউস হয়।
  • আরবিক এক্সারসাইজ এর ফলে আমাদের ব্রেইনের BMP- Bone Morpho genetic Proteins মানে হচ্ছে ব্রণ মরফোজেনেটিক প্রোটিন এর উৎপাদন কমে যায়।
  • যার ফলে ব্রেইনের প্রডাক্টিভিটি এন্ড ক্রিটিভিটি অনেক বেড়ে যায়।

২) দ্বিতীয়ত হচ্ছে Neuer genesis Diet.

Brain এর neurons Produce এর ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটা Neuer genesis Diet খুবি প্রয়োজন।

এই Neuer genesis Diet মূলত আমাদের ব্রেইনের প্রডাক্টিভিটি এবং ব্রেনের নিউরন উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি করে থাকে।

৩) মেডিটেশন বা ধ্যান করা।

  • মেডিটেশন এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি ব্রেইন কেন, আপনার বডি থেকে শুরু করে, আপনার মন, এবং সব কিছু কে কন্ট্রোল করতে পারবেন।
  • neurons কে কন্ট্রোল করা তো একটা ছোট বিষয়। সুতরাং মেডিটেশন করার মাধ্যমে আপনার neurons এর কানেকশন আগের থেকে অনেক বেশী strong হবে।
  • Science বলছে যারা রেগুলার 20 মিনিট থেকে 30 মিনিট মেডিটেশন, করে তাদের নিউরনস কানেকশন অন্য সকল সাধারণ ব্যক্তি থেকে তিনগুণ বেশি। সুতরাং Meditation করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

৪) Brain Exercise:

মেমোরি পাওয়ার স্ট্রং করার সবচেয়ে বেস্ট ওয়ে। সাইন্টিস্ট ও বলছে যে কোন বাচ্চা বা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির মেমোরি পাওয়ার স্ট্রং করার জন্য Brain Exercise খুব প্রয়োজন। সাইন্টিস্ট রা Brain Exercise এর জন্য সবচেয়ে বেশি Recomend করে play Brain Games. Brain games গুলো খেলা, যেমন pazzles, word game etc.

Visualization:

  • ভিজুয়ালাইজেশন এর মানে হচ্ছে কোন কিছু শোনা বা পড়ার সাথে সাথে সেই বিষয়টা কি নিয়ে একটি মৌন ছবি তৈরি করা। ফটোগ্রাফিক মেমোরি মানেই হচ্ছে ছবির মাধ্যমেই মনে রাখা।
  • যারা ফটোগ্রাফিক মেমোরির অধিকারী তারা যেকোনো বিষয়কে ছবিতে কনভার্ট করে নেয়। যেন তাদের স্মৃতিতে তা সারা জীবনের জন্য সেভ হয়ে যায়।
  • আমরা যে কোন বিষয়ে কানে শুনলে যতটা না মনে রাখতে পারি। তার থেকে বেশি মনে থাকে যদি চোখে দেখি। যেমন আমরা যদি কোন মুভি দেখি তাহলে সেটা আমাদের স্মৃতিতে লং টাইম পর্যন্ত মনে থাকে।
  • তাই প্রত্যেক বিষয়ে আপনাকে একটা মনোছবি তৈরি করতে হবে।

Recall:

  • Recall মানে হচ্ছে আপনাকে কোনো একটি বিষয়ে শিখার পর। সেটা এক থেকে দুই ঘন্টা পরে মনে করার ট্রাই করতে হবে।
  • যদি মনে না পড়ে তাহলে তা বারবার ট্রাই করতে হবে।
  • তাও যদি মনে না পড়ে তাহলে সেটাকে দেখে মনে করার চেষ্টা করতে হবে যাকে বলা হয় Remember seen Remember.
  • এছাড়াও আপনাকে একটা রুটিন তৈরি করতে হবে, যে আপনি প্রতি সপ্তাহে আপনার আগের পড়াগুলো, মানে প্রত্যেক সপ্তাহে পড়াগুলো সপ্তাহের শেষে মনে করবেন।
  • আর মনে না থাকলে সেটা রিমেম্বার সিন রিমেম্বার টেকনিকের মাধ্যমে ট্রাই করতে হবে।

বাইরের দেশগুলোতে দুর্বল Student এর মেমোরি স্ট্রং করার জন্য এই technic গুলো এপ্লাই করা হয়। আর যদি এই টেকনিক গুরুত্ব 3 মাস মানে হচ্ছে 120 দিন পর্যন্ত টানা ফলো করতে পারেন তাহলে এখনো মেমোরিতে ফটোগ্রাফিক মেমোরি তে কনভার্ট হয়ে যাবে।

Fatema Akter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *