বিক্রির বিশেষ কৌশল (special selling technique)
এবার আমি বিশেষ কিছু কৌশল নিয়ে বা বিশেষ কিছু টিপস নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। কিছু অল্প কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই আমরা অনেক বেশি বিক্রি করতে পারি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন বিক্রয়কর্মী কাজ শুধু বিক্রয় করা নয়, বিক্রয় দিনে দিনে বাড়াতে হবে।
অর্থাৎ আজকে যা বিক্রি করবেন কালকে শুধু এটুকু বিক্রি করলে আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান সন্তুষ্ট থাকবে না। প্রতিষ্ঠান চাইবে আপনার মাধ্যমে আরও বেশি পরিমাণে বিক্রি হক। তাহলে বিক্রি বাড়ানোর উপায় কি হতে পারে।
আপনার যে সকল ক্রেতা বা গ্রাহকদের মধ্যে আপনার সাথে লেনদেন বা কেনাকাটা করছে বা আপনার পন্য গ্রহণ করছে। তাদের কাছে আস্তে আস্তে পণ্যের পরিমাণ টাকে বাড়াতে হবে।
এক্সিস্টিং কাস্টমারের কাছে বেশি বিক্রি সেটা কিভাবে সম্ভব, এক্সিস্টিং কাস্টমার এর কাছে পণ্য বেশি বিক্রি করতে হলে আপনাকে দুইটা কৌশল অবলম্বন করতে হবে
এক নতুন পণ্য আসবে 2 পুরাতন পন্যের পরিমাণ বাড়বে। যদি এই দুটো কাজ করতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় প্রত্যেকটা আউটলেটে বা প্রত্যেকটা দোকানে আপনার পণ্যের উপস্থিতি বাড়বে। এবং আপনার পণ্যের উপস্থিতি বাড়লে আস্তে আস্তে আপনার বিক্রিটাও ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকবে।
অবলম্বন করা যায় যেমন আপনি কোন কাস্টমার যখন কোন পণ্যের অর্ডার দেন, তখন তিনি যে পণ্যগুলোর ডিমান্ড দেন যে এই পণ্যগুলো আমার লাগবে সেগুলো দেওয়ার পরে। আপনি কাস্টমারকে খুব হাসি মুখে বলতে পারেন এতক্ষণ যা লাগবে সেটা তখনই দিলেন।
এবার আপনাকে আমি কি দিতে পারি। এবার দোকানদার বলতে পারে, আপনি এগুলি সবই দেবেন। কিন্তু আপনি এগুলি চেয়ে নিলেন। আমি আমার তরফ থেকে একটা আইটেম আপনাকে দিতে চাই এটাকে বলে ( +1 concept) প্লাস ওয়ান কনসেপ্ট।
অর্থাৎ কাস্টমার বা ক্রেতা যেটুকু কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করবে সেটুকু দেওয়ার পর, বা সেইটুকু বিক্রয় করার পর।
আপনি আপনার সূচক ভাষায় বললেন আপনি আরেকটি আইটেম এর নাম বলেন যেটা আজকে আপনাকে আমি দিতে চাই, এভাবে প্রত্যেক প্রত্যেকদিন প্রত্যেকে একটা করে আইটেম যোগ করতে পারেন, তাহলে আস্তে আস্তে আপনার বিক্রিটা অনেক বেশি বাড়বে।
দোকানদার বা ক্রেতা যে পন্য গুলো অর্ডার দেয়, সেগুলো অর্ডার নেওয়ার পর। আপনি যখন তার ক্রয় মূল্য যোগ করবেন হয়তো দেখলেন ফিগারটা হয়েছে 980 টাকা। আপনি তখন দোকানদারকে বলতে পারেন ভাই 20 টাকার একটা অন্য দিয়ে আপনাকে আমি 1000 টাকার রাউন্ড ফিগার করে দিলাম।
অর্থাৎ যেকোন ভগ্নাংশ ফিগারকে রাউন্ড ফিগার করার জন্য আমি একটা বা দুইটা আইটেম যোগ করে ওই ফিগার টাকে রাউন্ড ফিগার করে দিলাম।
যেন খুচরা টাকার ভাংতি টাকায় কোন ঝামেলা না হয় এরকম ভাবে বুঝিয়ে বললে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি অধিকাংশ দোকানদার খুশি মনে আপনার রাউন্ড ফিগার কনসেপ্টটা গ্রহণ করবেন। এবং তারাও চাইবেন খুচরা টাকা ভাংতি টাকা ঝামেলায় না গিয়ে রাউন্ড ফিগারে পণ্য কিনতে।
প্রত্যেকটা মেমো বুকে যদি আপনি রাউন্ড ফিগার করতে থাকেন। সারা দিনে অন্তত 20 থেকে 25 টা বা 30 টা অর্ডার নিতে পারেন। ত্রিশটা দোকানে যদি আপনি ২০ টাকা করে যোগ করতে পারেন। রাউন্ড ফিগার করার জন্য। তাহলে আপনার 500 থেকে 600 টাকা এড হয়ে যাবে।
এভাবে যদি চিন্তা করেন প্রতিদিন 500 টাকার অতিরিক্ত বিক্রি করতে পারলে মাসে কিন্তু 15000 টাকা শুধুমাত্র রাউন্ড ফিগার করার জন্য আসতে পারে।
প্রথম কথা হচ্ছে আমরা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই কোনো লোভনীয় ও আকর্ষনীয় পন্য দিয়ে আমাদের সেলস করাটা শুরু করব। শুরুতে এমন কিছু বলবো যেন দোকানদার পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে আমার বাকি কথাগুলো শুনতে আগ্রহী হয়।
দ্বিতীয়ত কাস্টমার তার কেনার ইচ্ছা প্রকাশের পর আমি চেষ্টা করব অ্যাডিশনালি একটা আইটেম হলেও তার সাথে যোগ করার জন্য। যেটাকে বলা হচ্ছে প্লাস ওয়ান কনসেপ্ট। আর দ্বিতীয়ত যে বিষয়টা আমি বললাম সেটা হচ্ছে কাস্টমার এর ক্রয় মূল্য যে ফিগার টা আসুক না কেন সেটাকে রাউন্ড ফিগার করার চেষ্টা করা 980 টাকা 1000 টাকা করার চেষ্টা করা 1248 কে 1260 টাকা করা বা বারোশো পঞ্চাশ টাকা করার চেষ্টা করা, তেরোশো টাকা করার চেষ্টা করা। তেরোশো টাকার ফিগারকে চৌদ্দশ টাকা করার চেষ্টা করা। পনেরশো টাকা করার চেষ্টা করা।
এভাবে যদি টাকার অংকে বিক্রয় পরিমাণ বারাতে পারি। তাহলে মোটের উপর আমাদের বিক্রিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।