ভ্যাকসিন ও ঔষধ তৈরীতে সাপের বিষ কেন ব্যাবহত হয়।

আপনি জেনে অবাক হবেন যে, প্রায় প্রতিটি ভ্যাকসিন ও ঔষধ, বিষাক্ত প্রাণীর বিষ দিয়ে তৈরি। যার মধ্যে কোবরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষ দিয়ে, এসব ভ্যাকসিন তৈরি।

তবে সরাসরি সাপের বিষ আমাদের শরীরে গেলে মাত্র 1 মিনিটে যে কোন প্রাণী মারা যাবে।

তাহলে কিভাবে এই বিষ শরীরে প্রয়োগ করা হচ্ছেঃ

আজকের এপিসোডে জেনে নেয়া যাক।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিভাবে তৈরি হয় এবং মানবদেহে প্রয়োগ করা হয় সেই সাথে জানবো, বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে এসব মেডিসিন তৈরি করে।

স্বাগতম আপনাকে আজকের নতুন এপিসোডে,

vaccine তৈরির প্রসেস:

যে কোন ভ্যাকসিন তৈরি করা খুব একটা সহজ ব্যাপার না। কেননা এটা মানবদেহে প্রয়োগের উপযোগী কিনা তা বের করতে ব্যাপক গবেষণা ও পরীক্ষার দরকার হয়।

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি প্রথম ধাপ হচ্ছে বিষাক্ত প্রাণীর বিশ্ব, বিভিন্ন মলিকুলার কেমিক্যাল সংগ্রহ করা ও মিশ্রিত করা।

কোন ভাইরাসের ভ্যাকসিন ৬০% বিষ ও 4০% শতাংশ অন্যান্য কেমিক্যালযুক্ত। এসব উপাদান একসাথে একটি বড় মেশিনে মিশ্রিত করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন এর উপাদান গুলো দিয়ে বোতল গুলোকে ফিলিং করা হয়। তবে এখানে বোতল ফিলিংয়ের সময় বেশ কিছু উপাদান মিশ্রিত করা হয়। যাতে এসব ভ্যাকসিনের উপাদানগুলোর মেয়াদ ও গুনাগুন ঠিক থাকে।

যেহেতু করোণা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সম্পূর্ণরূপে বিষ দিয়ে তৈরি। তাই এসব বিষ কে নিউত্রালাইজ করার জন্য, আগুনের শিখার মধ্য দিয়ে পাস করানো হয়। আর এই বিষ সম্পূর্ণরূপে চেইঞ্জ হয়ে নিউট্রালাইজ হয়ে যায়। এখন এটাকে আবার পানি ওয়েভের মধ্য দিয়ে পাস করানো হয়। যাতে এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণরূপে শরীরের জন্য নিরাপদ হয়ে যায়।

এখানে মূলত বিষ কে উপকারী প্রতিরোধক হিসেবে পরিণত করা হয়। সর্বোপরি এই ভ্যাকসিন গুলো কে বোতলজাত করা হয়। এখানে বিভিন্ন রকমের বোতলে এইসব vaccine গুলোকে বোতলজাত করা হয়। যা কনভেয়র বেল্ট এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ অটোমেটিক ভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সবশেষে এই তৈরিকৃত ভ্যাকসিন গুলোকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়।

ক্যাপসুল মেকিং প্রসেসঃ

চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্যাপসুল এক অনবদ্য সৃষ্টি। বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে বহুল প্রচলিত। ক্যাপসুল তৈরির প্রধান উপাদান হলো জিলাটিন। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড় টিকটিকি থেকে কিছু উপাদান সংগ্রহ করা হয়। এরপর এগুলোকে একটি মিক্সিং বলের মধ্যে মিশ্রিত করা হয়। এসব উপাদান মিশ্রনের সময় সুষম মিশ্রণ হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখা জরুরী। কারণ সামান্য ত্রুটিপূর্ণ মিশ্রণটি পুরো লটকে বাতিল করতে পারে।

দ্বিতীয় ধাপে মিশ্রণকে একটি মেশিনের মাধ্যমে চালনা করা হয়। এখানে প্রথমে ক্যাপসুল এর দ্রবণ কে চাপ ও তাপ এর মাধ্যমে একটি কঠিন দ্রবনে পরিণত করা হয়। এরপর এগুলোকে পুরোপুরিভাবে ক্যাপসুলে পরিণত করা হয়।

যেখানে এই মেশিনের মিনিটের 5000 ক্যাপশন উৎপাদন করা সম্ভব। এর পরেই তৈরিকৃত ক্যাপসুল কে একটি কোভার আবৃত করা হয়। যেখানে প্রায় তিন থেকে চারটি মেশিন এর মধ্য দিয়ে এগুলোকে পাস করানো হয়।

ক্যাপসুল গুলোকে কভারে আবৃত না করলে এই ঔষধের মেয়াদ বেশিদিন থাকে না। এছাড়া কভারে আবৃত করার সময় কিছু মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে এই মেডিসিন গুলো মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

ফাইনাল প্রসেসঃ
ফাইনালি মেডিসিন গুলো কে বারবার ল্যাব এ টেস্ট করে দেখা হয়। যে এই ওষুধের গুনাগুন ঠিক আছে কি না। যদি এটা ল্যাব টেস্ট উত্তীর্ণ হয় তাহলে ফাইনালি এগুলো বাজারে বাজারজাতকরণের উদ্দেশে প্যাকিং করা হয়।

আর বাজারজাতকরণের আগে এই ঔষধের গায়ে মেয়াদের তারিখ সিল করা হয়। আর এখন ভোক্তাদের কেনার জন্য এইসব ঔষধ সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন.

Tw3press

The Latest insights of Knowledge Connection and opportunities.

Leave a Reply